রাজ্য পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে যখন বসিরহাট আদালতে তোলা হয় তখন বাদশার মেজাজেই তাঁকে 💧দেখা গিয়েছিল। সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে দেখা গিয়েছিল বসিরহাট আদালতে তর্জনী তুলেছিলেন। তারপর তদন্তের জন্য তাঁকে নিয়ে আসা হয় সিআইডি’র সদর দফতর ভবানী ভবনে। সেখানেই চলছে দফায় দফায় জেরা। এই আবহে বসিরহাট থানার আইসি বদল হয়ে গেল। সিআইডির ইনস্পেক্টর হিসাবে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। এই রদবদল যথে﷽ষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শেখ শাহজাহান এখন সেই মেজাজ হারিয়েছেন।
এদিকে বসিরহাট থানার আইসি♈ হিসেবে এখানে ছিলেন কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যেদিন শাহজাহানকে বসিরহাট আদালতে পেশের সময়েও উপস্থিত ছিলেন এই আইসি। এবার তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে সিআইডির ইনস্পেক্টর হিসেবে। আর বসিরহাট থানার নতুন আইসি হয়ে এসেছেন রক্তিম চট্টোপাধ্যায়। তাহলে কি কাজলবাবু পুরষ্কৃত হলেন? প্রশ্ন উঠছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, রুটিন বদলি ছাড়া এই রদবদল আর কিছুই নয়। কিন্তু এটা সহজভাবে দেখছেন না অনেকেই। যদিও সিআইডি জেরার মুখে ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছেন শাহজাহাಌন বলে সূ্ত্রের খবর।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা–কর্মীদের মোবাইল–মানিব্যাগ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ, 𒁃মোদীর ♉সভায় চুরি
অন্যদিকে সিআইডি সূত্রে খবর, লাগাতার প্রশ্নের মুꦦখে শুক্রবার ভাঙতে শুরু করেন শেখ শাহজাহান। আসলে শাহজাহান বুঝতে পেরেছেন এবার কোনও অজুহাত কাজ করবে না। কারণ দল তাঁর পাশে নেই। সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর পদ খোয়া গিয়েছে। আর তাই আগের ম🍒েজাজ নেই শাহজাহানের। মাথার উপরে কোনও হাত না থাকায় সিআইডির পোড়খাওয়া তদন্তকারীদের একের পর এক প্রশ্নবাণ সহ্য করছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে নিজের চড়া মেজাজ ছেড়ে দিয়ে অন্যান্য সাধারণ অভিযুক্তের মতোই সুর নরম করেছেন শাহজাহান। এই তদন্তে সিআইডি ইডির ওই কর্তাকে তলব করেছে, যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ইডির কাছে কী তথ্য বা নথি আছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়া মালদা থানার আইসি দীপক কুমার দাসকেও বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে দার্জিলিংয়ে বদলি করা হয়েছে। পুরুলিয়ার মানবাজারের সিআই সিদ্ধার্থ ঘোষকে বসিরহাট পুলিশ জেলায় বদলি করেছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার প্রশান্ত দত্তকে পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া জেলার মানবাজারে। আর সিআইডির ইনস্পেক্টর বিশ্বজিৎ মণ্ডলকেও বদলি কꦆরা হয়েছে। তবে সবার আগে বদলি করা হয় বসিরহাট থানার আইসি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে।