রাজ্য বাজেট পেশ হল বিধানসভায়। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের দিনেও কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি পেট্রোপণ্যের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়লে মানুষের হেঁশেলে প্রভাব পড়েꦉ৷' কেন্দ্রের দি𝄹কে আঙুল তুলে মমতার প্রশ্ন, এই থেকে ওঁরা আয় করে। ৩ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে ওরা৷ কোথায় গেল এত টাকা? এত টাকা বাড়লে, মানুষের চলবে কী করে?’
কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্যের হিসেব নিকেশ দিতে গিয়ে তাঁর দাবি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রয়েছে। প্রত্যেকটি ইস্যু ধরে ধরে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, গোটা দেশের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বাংলা। দেশের অর্থনীতি যেখানে নিম্নগামী, সেখানে রাজ্যের জিডিপি রেকর্ড হারে বৃদ্ধি হয়েছে৷ মমতা দাবি করেন, দেশের জিডি๊পি এই মুহূর্তে যেখানে -৭.৭ শতাংশ। সেখানে রাজ্যের জিএসডিপি এই মুহূর্তে +১.৭৫ শতাংশ।
একইসঙ্গে আগামী দিনে কোন পথে রাজ্যের উন্নয়নের চাকা গড়িয়ে নিয়ে যাবেন, তারও ‘রোডম্যাপ’ আঁকার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বাজেটের ৫৮.২৬ ꦑশতাংশ সামাজিক সুরক্ষা যোজ🌼নায় বরাদ্দ করা হয়েছে৷ যার মধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছাবে৷
এদিন তিꩵনি জানিয়েছেন, রাজ্য বাজে♌টের ৫৮.২৬ শতাংশ সামাজিক সুরক্ষা, ২৬.২৯ শতাংশ কৃষি ও কৃষি বিপণন, ৫ শতাংশ উন্নয়ন, ১০ শতাংশ অন্যান্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে। তাছাড়া একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে৷
রাজ্যের আগামী দিনের লক্ষ্য কী হবে সে ব্যাপারে মুখ্য♉মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘ আমাদের কাছে দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন ধরনের আবেদন এসেছে। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। যাদের এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই তাঁরা সেটা শী🍰ঘ্রই করে নিন। তাছাড়া লক্ষ্মীর ভান্ডার (সাধারণ পরিবারের মেয়েরা মাসে ৫০০ টাকা, তফশিলি পরিবারের মেয়েরা মাসে ১,০০০ টাকা করে পাবেন) শীঘ্রই চালু করে দেওয়া হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।