ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে শহরতলির ট্রেন পরিষেবা। এবার রাজ্যের অন্যান্য অংশেও শীঘ্রই লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। কীভাবে সেই পরিষেবা শুরু হবে, ট্রেন কীভাবে চলবে, তা নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে পারে রাজ্য সরকার এবং রেল।গত ১১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শহরতলির লোকাস ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছে। কিন্তু আসানসোল, মালদহ, আদ্রা-সহ রাজ্যের বাকি অংশে এখনও পরিষেবা শুরু হয়নি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে লোকাল ট্রেন ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা শুরুর দাবি উঠছে। সূত্রের খবর, সেই পরিস্থিতিতে পরিষেবা আবার শুরুর সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য সরকার। দ্রুত ট্রেন চলাচলের রূপরেখা তৈরির জন্য শনিবার রেল কর্তাদের আলোচনায় বসতে আগ্রহী ছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু হাতে বেশি সময় না থাকায় সেই বৈঠক আর হয়নি। সোমবারও সেই বৈঠক সম্ভবত হবে না। কারণ আগামিকাল রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে থাকবেন। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে যে কোনও দিন বৈঠকে বসতে পারেন রাজ্য এবং রেলের কর্তারা।সূত্রের খবর, যত দ্রুত সম্ভব জেলায় লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে চাইছে রাজ্য। সেজন্য রেলকে যাবতীয় সাহায্যও করা হবে। শহরতলির ট্রেনের পরিষেবার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং রেলের মধ্যে যেরকম সমন্বয় তৈরি করা হয়েছে, রাজ্যের বাকি অংশে পরিষেবা শুরুর জন্য একইরকম সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।বিশেষজ্ঞদের মতে, শহরতলিতে ট্রেন পরিষেবা চালুর ফলে রেল ও রাজ্যের হাতে একটা স্পষ্ট রূপরেখা আছে। তবে শহরের বাইরে যাত্রী সংখ্যা অনেক। অসংখ্য মানুষ লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেনের উপর নির্ভর করেন। ফলে কোন শাখায় যাত্রীদের চাহিদা বেশি, কোন লাইনে বেশি লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলবে, সে বিষয়ে একেবারে নিঁখুতভাবে পরিকল্পনা করতে হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ, করোনাভাইরাস সুরক্ষা বিধি পালনের ক্ষেত্রে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন আছে। শহরতলির পরিষেবার মতো সেখানেও নোডাল অফিসার নিয়োগ করে পুরো বিষয়টির দেখভাল করা হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।