ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করায় ভোটের আগে বেঁকে বসেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, পাঠানের বিরুদ্ধে তিনি করাবেন। তবে শেষ পর্যন্ত দলনেত্রীর নির্দেশে তিনি মাঠে নেমেছিলেন। তার কথায়, এক দুবার নয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে চারবার ফোন করে পাঠানকে জেতানোর কথা। জিতেছেনও তৃণমূল প্রার্থী। তবে ভোট মিটতেই 🐈আবার স্বমহিমায় হুমায়ুন কবীর। এবার তাঁর নিশানায় রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম।
তাঁর দাবি, ইউসুফ পাঠানকে ভোটে জেতাতে তিনি নানা বাধা বিপত্তি পের🐭িয়েছেন। জেলা সভাপতি বা যাদের হাতে জেলার দায়িত্ব ছিল তাঁরা প্রার্থীকে হুম🍌ায়ুনের এলাকায় প্রচারে আসতে দেননি।
বহরমপুরের কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে রেজিনগর থেকে সবচেয়ে বেশি লিড পেয়েছেন ই♏উসুফ পাঠান। ওই রেজিনগরেই থাকেন হুমায়ুন। কিন্তু তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র ভরতপুরে লিড কম পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। ইউসুফ রেজিনগর থেকে লিড পেয়েছেন ৪২,১২৮টি ভোটে ও ভরতপুর থেকে লিড পেয়েছেন ১৮,৭৩০টি ভোটে। তাই একটু অস্বস্তিতে ভরতপুরের বিধায়ক।
এই লিড কম হওয়া প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন, 'আমার যে বিধায়ক, যিনি দলের🍸 চেয়ারম্যান হয়ে বসে আছেন তিনি পর্যন্ত আমাদের মতো লোককে একদিনও বলেননি ইউসুফ পাঠানের হয়ে ভোটটা করতে হবে। এমনকী একদিন আসা বা কোনওভাবে সহযোগিতা করা, চ♌ায়ের পয়সাটুকু কর্মীদের দেননি। আমি নিজে যতটুকু পেরেছি, কর্মীদের পাশে থেকে তাঁদের সহযোগিতা করে কাজ করেছি।'
আরও পড়ুন। সৌজন্যের রাজনীতি- উন্নয়নে🎀র নীল 🌳নকশা শত্রুঘ্নর হাতে তুলে দিতে চান আসানসোলের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী
তাঁর দাবি এ সব তিনি গায়ে না মেখে পাঠানকে জেতানোর জন্য কাজ করেছেন। তাঁর কথায়,'আমি অনেক পোড় খাওয়া রাজনীতির লোক। তাই মেনে নিয়েছি। ২০১২ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসি। মমত𒀰া বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে স্নেহ করেন, বকাঝকাও করেন। তবে আমি মনে করি শাসন 🎃করার অধিকার তারই থাকে যিনি স্নেহও করেন।'
তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, নিজের বিধানসভা লিড কম হওয়ার জন্য দলনেত্রীর প্রশ্নের মু💮খে পড়বেন। তাই তার আগে হুমায়ুন কবীর আঙুল তুলে রাখলেন জেলা সভাপতির দিকে।
এক সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন,'জেলায় কিছু ব্লক সভাপতিরꩲ পরিবর্তন করা ಌখুবই জরুরি। যারা দলটাকে নিজেদের জমিদারি ভেবে দল করছেন তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করা, দলের অন্দরে আত্মপক্ষ সমালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। নাহলে অনেক ব্লক সভাপতি নিজেদের বুথেই লিড পাইনি, তারা ব্লকে কী লিড দেবে সেটা দলকে ভাবতে হবে।'