কেষ্টপুর, রাজারহাট এবং তেঘরিয়া-সহ বিধাননগর পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে ফ্ল্যাট। আর তাতেই বাড়ছে বিপদ। সেই ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন বহু মানুষ। সম্প্রতি এই প্রতারণার খবর 𓆏কানে আসতেই তা ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছে বিধাননগর পুরসভা। এ নিয়ে মানুষকে সতর্ক করার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি মাইকে করে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।&nbs🍬p;
আরও পড়ুন: নথি জা𒁃ল করেই বিক্রি হচ্ছে হিডকোর জমি, পুলিশ ও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
এ বিষয়ে পুরসভার কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এক মহিলার ফ্ল্যাট কেনার পর। জানা গিয়েছে, কেষ্টপুরে নবনির্মিত ফ্ল্যাট কিনেছিলেন ওই মহিলা। এরপর যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে মিউটেশনের জন্য গিয়েছিলেন বিধাননগর পুরসভায়। কিন্তু সেখানে ফ্ল্যাটের নথিপত্র দেখার পর পুরসভার﷽ তরফ থেকে জানানো হয় যে এই মিউটেশন সম্ভব নয়। কারণ হিসেবে জানানো হয়,🧸 ওই ফ্ল্যাটের নকশার অনুমোদন পুরসভার তরফে দেওয়া হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে পুরসভা থেকে ফিরে যেতে হয় ওই মহিলাকে।
পুরসভা সূত্রে জানা গ༒িয়েছে, শুধুমাত্র ওই মহিলাই নন, একাধিক মানুষ ওই সমস্ত এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে এভাবেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে প্রতারকরা কখনও জমির মালিক সেজে বা কখনও মালিকের আত্মীয় সেজে ফ্ল্যাট বিক্রি করে মোটা নিয়ে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ। এই সমস্যার সমাধানে ইতিমধ্যেই বিধানসভার পুরসভার তরফে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। পুর কমিশনার সাধারণ মানুষকে আর্জি জানিয়েছেন, ফℱ্ল্যাট কেনার আগে সমস্ত নথি যেন খতিয়ে দেখা হয়। সেক্ষেত্রে বিল্ডিং বিভাগের অনুমোদন রয়েছে কিনা বা নকশার অনুমোদন রয়েছে কিনা, সেই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার পরেই ফ্ল্যাট কেনার পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনার।
এর পাশাপাশি পুরসভার তরফে মাইকে করে প্রচার করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিধাননগর পুর এলাকাজুড়ে এই প্রচার করা হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র কেষ্টপুর, রাজারহাট, তেঘড়িয়া এলাকাতেই গত তিন বছরে ১০০-র বেশি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতারা ফ্লাটের তথ্য যাচাই না করে সেগুলি কিনে ফেলছেন। যার ফলে তাঁরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সেই কারণে পুরসভার তরಞফে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছেম এছাড়া বেআইনিভাবে ফ্ল্যাট নির্মাণের উপর নজরদারি চালানোর জন্য বিল্ডিং বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা।
উল্লেখ্য, হিডকোর জমিও নথি জাল করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি বিধানসভায় স্বীকার করেছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সে প্রসঙ্গে তিনি মানু🍃ষকে সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘যাঁরা হিডকোর জমি কিনতে চান তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি। এরকমভাবে গোপনে হিডকোর কোনও প্লট বিক্রি হয় না। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বা মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া হিডকোর কোনও জমির একটুও বিক্রি হয় না। জমি বিক্রির আগে প্রকাশ্যে টেন্ডার করে ঘোষণা করা হয়। তাছাড়া ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়।’