বন্যা দুর্গতদের দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। একদিকে নাগাড়ে বৃষ্টি অপরদিকে ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে𝓡 দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। গ্রামবাংলার মানুষজন বিপদের মধ্যে রয়েছেন। এই আবহে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন বীরভূম জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আজ, বুধবার স্পিডবোট উল্টে নদীতে পড়ে যান জেলাশাসক–সহ প্রশাসনিক অফিসাররা। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। তখন তাঁদের দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা খুঁজছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ বুধবার বীরভূমের লাভপুরে বানভাসী পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ১৩ জন প্রশাসনিক অফিসাররা। বীরভূমের লাভপুরের ১৫টি গ্রাম এখন জলের তলায়। প্লা🍌বিত হয়ে গিয়েছে বাড়িঘর থেকে শুরু করে গবাদি পশু এবং চাষের জমি। বিপুল পরিমাণ মানুষজন জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। সাতটি গ্রামের মধ্যে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কুয়ে নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্পিডবোটে রওনা হন জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সামিরুল ইসলাম এবং অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা–সহ কয়েকজন। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন: টালা থানার ওসিকে সাসপেন্ড করল কলকাতা পুলিশ, পাশে থাকার বার্তা স্রেফ আশ্বাস
পুলিশ সূত্রে খবর, বন্যার মতো পরিস্থিতি গড়ে ওঠায় গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই এখানকার মানুষের খোঁজখবর নিতে যাওয়া হয়। এমন সময় ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ জলের তোড়ে কুয়ে নদীতে স্পিডবোট উল্টে যায়। তার জেরে জলে পড়ে যান পুলিশ সুপার–সহ বাকিরা। তোলপাড় কাণ্ড বেঁধে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর দ্রুত প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্ধ👍ার করতে নামেন তাঁরা। এই খবর চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তারাও ঝাঁপিꦯয়ে পড়েন উদ্ধারকাজে।