বাগুইআটির দুই পড়ুয়া খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনার সাক্ষী থাকল ইলামবাজার। রবিবার ইলামবাজার থানার চৌপাহাড়ি জঙ্গল থেকে গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। মৃত ছাত্রের নাম সৈয়দ সালাউদ্দিন। বয়স ১৯ বছর। বাড়ি বীরভূমে। অভিযোগ, অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। মুক্তিপণ না মেলায় ওই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে। সালাউদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, কি ঘটেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে দেখার পর পুরো বিষয়টি জানানো হবে। (আরও পড়ুন: রবিবার সকালেই ফের শিরোনামে গার্ডেনরিচ, মৃত তৃণমূল কাউন্সিলর পুত্র, বাবার অফিসে মিলল দেহ)
সৈয়দ সালাউ♎দ্দিন আসানসোলের একটি কলেজে মাইনিং নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর আসল বাড়ি খয়রাশোল। সৈয়দ থাকতেন মল্লারপুরের সুমনাপল্লীতে। সপ্তাহে শনিবার এবং রবিবার ছুটি থাকার কারণে তিনি বাড়ি আসতেন। গত শনিবার বাড়ি না আসায় তাঁর মা তাঁকে ফোন করেন💟। সেই সময় নাকি সৈয়দ জানিয়েছিলেন তিনি রবিবার বাড়ি আসবেন।
আরও পড়ুন: পুজো আসছে! কেনাকাটার জন্য বিশেষ বাস চালু কলকাতার একাধিক রুটে
পরে শনিবার গভীর রাতে সৈয়দের বাবা আবদুল মতিনের মোবাইলে ফোন করা হ🌃য় তাঁরই মোবাইল থেকে। ফোনে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ঘটনার পর সালাউদ্দিনের বাবা আবদুল মতিন মল্লারপুর থানায় বিষয়টি জানান। সালাউদ্দিনের বন্ধু শেখ সলমনের উপর সন্দেহ করা হয়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে জানতে পারেন ঘটনাটি ইলামবাজারের চৌপাহাড়ি জঙ্গল থেকে ঘটানো হচ্ছে।
মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য সৈয়দের বাবাকে রাত দুটো পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে মাঝ রাতে জানতে পারা যায়, চৌপাহাড়ি জঙ্গলে সালাউদ্দিনের মৃতদেহ গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ সালাউদ্দিনের বন্ধু সলমনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখ꧅ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। সলমনের দাবি, তাঁরা জঙ্গলে মদ খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনজন এসে সালাউদ্দিনকে খুন করেন। ঘটনার সময় সলꦕমন নিজের প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যান। সালাউদ্দিনের বন্ধু সালমানের বাড়ি আহমেদপুর।