গরুপাচার মামলায় সিবিআই গ্রেফতারের পর অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তিহাড় জেলে গিয়ে দেখা করার কথা বলেছিলেন কাজল শেখ। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। তার আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল। জেলমুক্তির পর কেটে গিয়েছে চারটি দিন। অনুগামী থেকে শুরু করে দলের বহু কর্মী–সমর্থক দেখা করেছেন তাঁদেཧর ‘কেষ্টদা’র সঙ্গে। কিন্তু দেখা করে উঠতে পারেননি বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।﷽ প্রকাশ্যে একাধিকবার ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে দলের জেলা সভাপতির গুণগান করলেও গত চারদিনে দেখা হয়নি ‘শিষ্য’ কাজলের সঙ্গে। এবার আজ, শনিবার বোলপুরে গেলেন কাজল শেখ। দলীয় কার্যালয়ে মুখোমুখি দেখা হল গুরু–শিষ্যের। ব্যবধান দু’বছর পর।
অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের ꦆদ্বন্দ্ব জেলার সবাই জানে। সেখানে আজ মুখোমুখি হলেন কেষ্ট–কাজল। যা এককথায় তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ কেষ্টর অনুপস্থিতিতে কাজলই সবটা দেখতেন। এখন কেষ্ট ফিরে আসায় একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। বারবার অনুব্রত মণ্ডলের মুখে শোনা গিয়েছে, সবাই ভাল থাকুক। এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বীরভূমের মাটিতে এটাই বলেছেন কেষ্ট মণ্ডল। সেই একসঙ্গের মিলন বোধহয় আজ ঘটল। দু’জনের মুখের হাসি সেই ইঙ্গিতই বহন করছে। অনুব্রত–কাজল কেমিস্ট্রি মিলে গেলে বীরভূমে বিরোধীদের আর দাঁত ফোটানোর জায়গা থাকবে না। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন তাই ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষেই কি দুর্গাপুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী? সরাসরি জবাব দিলেন মন্ত্রী সুজিত
এদিকে বোলপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় নতুন করে সেজে উঠেছিল কেষ্ট বাড়ি ফেরার পর। অন্য নেতাদের ছবি সরিয়ে দিয়ে এই কার্যালয়ে জায়গা পেয়েছে শুধু কেষ্টর ছবি। প্রকাশ্যেই তখন ওই কাজের সমালোচনা করেছিলেন কাজল শেখ। তবে শনিবার বিকেলে ওই কার্যালয়েই ‘দাদা–ভাই’–কে মিলিয়ে দিল। সাক্ষী থাকলেন কর্মী–সমর্থকরা এবং নেতারাও। বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখকে দেখে একগাল হেসে জড়িয়ে ধরলেন দাদা কেষ্ট। ভাই কাজল তখন করজোড়ে প্রণাম করছেন। আসলে বুধবার দলীয় কার্যালয়ে এসে অনুব্রত মণ্ডল নিজে ফোন করে কাজল শেখকে আসার আমন্ত্রণ জানান। সেটাই রক্ষা করলেন আজ কাজল।