'বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম'। নেট পাড়া এখন মাতোয়ারা হয়েছে এই গানটিতে। ইউটিউবে কয়েক মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে এই গানটি। শুধু তাই নয়, গানটির বানিয়ে ফেলেছেন অনেক শিল্পী। মাত্র কয়েক মাসের নেট দুনিয়ায় চরম সাড়া ফেলেছে এই গানটি। ইউটিউব থেকে শুরু করে, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক সর্বত্রই যেন ভরে গিয়েছে 'কাঁচা বাদাম' গানটিতে। এককথায় মানুষ মুগ্ধ হয়েছে ভুবন বাদ্যকরের এই গানে।কিন্তু, এই গানের কথা এবং সুর যার , দুরবাজপুরের সেই বাদামবিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর মোটেও এরকম ভেবে গানটি তৈরি করেননি। গ্রামে গ্রামে গিয়ে হকারি করে বেড়ান ভুবন। আরও বেশি মানুষ যাতে বাদাম কেনেন তাই মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্যই ভাবনাচিন্তা করতে করতে এই গানটা লিখেছিলেন ভুবন। আর দুরবাজপুরের কুড়ালজুড়ি গ্রাম ছাড়িয়ে আজকাল ভুবনের এই গানে মেতে নেটমাধ্যম। এবিষয়ে ভুবন জানান, ' আমি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাদাম বিক্রি করি। আগে সাইকেলে করে বাদাম বিক্রি করে বেড়াতাম। তবে ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করে একটি পুরোনো মোটরসাইকেল কিনেছি। তাতে করেই এখন গ্রামে গ্রামে বাদাম বিক্রি করে বেড়াই।' গ্রামের পাশাপাশি তিনি ঝাড়খণ্ডেও মাঝেমধ্যে চলে যান বাদাম বিক্রি করতে। বাদাম বিক্রি করে কোনওভাবে সংসার চলে তাঁর। মোটরসাইকেলের পিছনে বাদামের বস্তা বেঁধে গান গাইতে গাইতে বাদাম বিক্রি করে বেড়ান তিনি। তবে দরিদ্র অবস্থা না ঘুচলেও তার গানটি যেভাবে মানুষকে মুগ্ধ করেছে তাতে খুশি হয়েছেন ভুবন।স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াহিদ রেজা খান তার গানে এতটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে তিনি বলেন, 'শুধু আমাদের গ্রামেই নয় গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ভবনের কাঁচা বাদাম গানটি। আমরা জানতাম না যে আমাদের ছোটো গ্রামের মধ্যে এরকম প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের গ্রামেই নয় গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ভবনের কাঁচা বাদাম গানটি। আমরা জানতাম না যে আমাদের ছোট গ্রাম এর মধ্যে এরকম প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।'