গতকাল রাতেই হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে বড়মা বীণাপানিদেবীর ঘরে ঢোকার অভিযোগ উঠেছিল বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। আর আজ তিনি দাবি করলেন, বড়মার ঘর যে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। নাম না করে মমতাবালা ঠাকুরকে তোপ দেগে শান্তনু অভিযোগ করেন, এই ঘর কারও একার অধিকার থাকা ঠিক নয়। শান্তনুর বক্তব্য, 'এই ঘরের সঙ্গে ঠাকুরনগরের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। এটা হেরিটেজ হওয়া উচিত, কারও কুক্ষিগত থাকা ঠিক নয়। যদি ভক্তরা চান, তাহলে এই ঘরকে আমরা হেরিটেজ হিসেবে মান্যতা দেব। সেই সময় সবার জন্যেই এই ঘর খোলা থাকবে। আমরা চাই এই ঘর হেরিটেজ হোক।' (আরও পড়ুন: আশঙ্কায় পরিণত উল্লাস, 'বাংলাদেশের নথি দিতে পারব 𒊎না', CAA নিয়ে কী বলছে ঠাকুরনগর?)
আরও পড়ুন: 'ব্রাহ্মণ-মুসলিমরাও মত🥃ুয়া কার্ড করাচ্ছে', 'নতুন ভক্ত' নিয়ে বিস্ফোরক ঠাকুরবাড়ির অনুগামীরা
আরও পড়ুন: 'মান🅘ুষ একটু ভয় পাচ্ছে, কিন্তু…', সি🥃এএ নিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি মতুয়া গড়ের BJP নেতা
এর আগে গতরাতে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের বাড়ির দরজা ভাঙতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে দেখা গিয়েছিল খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা। এই সবের মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করে, ঠাকুরবাড়িতে মন্দিরে জুতো পরেই প্রবেশ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই অভিযোগের পক্ষে একটি ভিডিয়ো (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে দেখা গিয়েছে হলুদ জামা পরিহিত শান্তনু ঠাকুর একটি চেয়ারে বসে আছেন। তাঁর সামনেই সম্ভবত প্রণামীর থালা। আর সেখানে একজন জুতো পরে দাঁড়িয়ে আছেন চৌকাঠের পাশেই। (দেখুন ভিডিয়ো: শান্তনু 𓄧ঠাকুরের সামনে জুতো পরে বড়মার ঘরে কেন্দ্রীয় বাহিনী? আঘাত মতুয়া ভাবাবেগে!)
আরও পড়ুন: 'তৃণমূল করলে নাগরিকত্ব নয়' মন্তব্যের জের, 'কমিশনের নির্দেশে' শান্তন💯ুর নামে FIR
প্রসঙ্গত, ঠাকুরবাড়ির দুই সদস্য মমতাবালা এবং শান্তনুর মধ্যে কোন্দল আজকের নয়। ২০১৯ সালে শান্তনু বিজেপিতে যোগদান করলে সেই কোন্দল আরও বাড়ে। গত লোকসভা নির্বাচনে মমতাবালাকে হারিয়ে জয়ী হন শান্তনু ঠাকুর। পরে সিএএ ইস্যুতে দুই পক্ষের সংঘাত আরও চরমে গিয়ে পৌঁছায়। আর গতকালকের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের অℱভিযোগ, বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘর দখল করতেই হামলা শান্তনুর। দরজা ভেঙে ঘর দখল করে ভিতরে বসেও পড়েন শান্তনু ঠাকুর, তাঁর ভাই-সহ পরিবারের লোকজনেরা। গাইঘাটা থানায় শান্তনু ঠাকুর-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মমতাবালা ঠাকুর।
এদিকে এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে শান্তনুর বক𝓰্তব্য, 'আমার ঠাকুমা-ঠাকুরদাদার ঘর। অনেকবার ঢুকতে চেয়েছি। ওরা দখল করে রেখেছিল। এবার হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে হোক বা যেভাবেই হোক আমি ঢুকেছি। আমার ঠাকুরদার ঘর। এখানে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকবে? আমি কেন এসেছি, কাউকে কোনও কৈফিয়ত দেব না। এই বাড়িতে আমাদের অধিকার আছে সেই অধিকার আমরা বুঝে নিয়েছি।'