সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল বাংলায়। সেই ভিডিয়ো শান্তনুকে বলতে শোনা গিয়েছিল - 'তৃণমূল করলে নাগরিকত্ব নয়'। সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি অভিযোগ জমা করেছিল 'বাংলা পক্ষ'। সেই সংগঠনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নাকি এবার এফআইআর করা হয়েছে গাইঘাটা থানায়। এই বিষয়ে বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক মাইতি জানান, তাঁর করা অভিযোগটি গাইঘাটা থানায় ফরোয়ার্ড করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলে নির্বাচন কমিশন। সেই মতো ৭ এপ্রিল ইমেল মারফত গাইঘাটা থানার ওসি-কে অভিযোগ জানান কৌশিক মাইতি। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নাকি একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাংলা পক্ষের দাবি, শান্তনু ঠাকুর যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন। (আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে 'চমক' দ﷽েখাবে BJP, বাংলাতে হবে অবাক করা ফল, বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের)
আরও পড়ুন: 'ওয়েনাড়ে জিতে কিছু হবে না🐼', লোকসভা ভোটেরℱ আগে রাহুলকে 'চরম বার্তা' PK-র
এর আগে সম্প্রতি শান্তনু ঠাকুরকে এক সভায় বলতে শোনা গিয়েছিল, 'আপনারা সেল্ফ ভেরিফিকেশন করে নাগরিকত্বের আবেদন করুন। তার পর ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের সময় আমরা দেখে নেব। তখন আমাদের কাছে আসবেন। কোথায় কী করতে হবে হবে বলে দেব। কিন্তু তৃণমূলকে সঙ্গে নেবেন না। একটা তৃণমূলের লোককেও নাগরিকত্ব দেব না। তার পর ওদের খ্যামটা নাচ দেখাব। বড় বড় কথা না? দেখব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেমন করে বাঁচায় তোদের। সিএএ-তে নাগরিকত্ব না ন🤡িলে পরে এনআরসি হলে বিপদে পড়বেন। দেখা গেল বিজেপি এনআরসি করল না। কিন্তু ২০০ বছর পর কেউ এনআরসি করল। তার পর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে সব বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের বাঁচাতে আসবে?'
আরও পড়ুন: আশঙ্𝓀কায় পরিণত উল্লাস, 'বাংলꦆাদেশের নথি দিতে পারব না', CAA নিয়ে কী বলছে ঠাকুরনগর?
এরপরে শান্তনুর সেই বক্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। এই নিয়ে বিজেপি নেতার প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে অবশ্য তিনি নিজেꦑর বক্তব্যে অনড় থাকেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, 'আমি ঠিকই বলেছি। তৃণমূল সমর্থকদের নাগরিকত্ব দেব না। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করবে। আবার নাগরিকত্বও চাইবে তা চলবে না। দল বেছেই তো ওরা নাগরিকত্বের বিরোধিতা করেছে। তাহলে কেন নাগরিকত্ব দিতে যাব ওদের?'
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান এবং পারসি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ পাশ করানো হয়েছিল ২০১৯ সালে। আর ২০২৪ সালের ১১ মার্চ সেই আইনের বিধি কার্যকর করা হয়। এই আবহে লোকসভা নির্বাচনে একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সিএএ। বাংলায় বসবাসকারী বহু মানুষ সিএএ নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। এই আবহে নাগরিকত্বের ইস্যুটি যাতে বিজেপির জন্যে বুমেরাং না হয়ে যায় এর জন্যে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, '☂ভারত মাতায় যারা বিশ্বাস করেন, তাদের প্রত্যেককে নাগরিকত্ব দেওয়া আমার গ্যারান্টিಌ।' এই আবহে শান্তনুর মন্তব্য ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনেও এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। আর কমিশনের পর এবার পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হল।