পাচার হওয়া নির্যাতিতাদের জন্য প🌜ুনর্বাসন কাঠামো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে, এই ধরনের নির্যাতিতাদের শক্তিশালী পুনর্বাসন কাঠামোর অভাব রয়েছে। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেಞন্দ্রকে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছে এবং অবস্থান জানিয়ে একটি হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘটক🌊ালির আড়ালে নারী পাচার! কাশ্মীর থেকে𒁏 এসে মহিলাকে ধরল পুলিশ
বিচারপতি জেবি পারদি🌊ওয়ালা এবং পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ বলেছে, যে মানব ও যৌন পাচার এমন অপরাধ যা মানুষের ﷽মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। নির্যাতিতাদের জীবন, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এই ধরনের অপরাধের শিকার হয়।
শীর্ষ আদালত বলেছে, যৌন পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক⛦ভাবে অনেক ধরনের ক্ষতি ও হিংসা সহ্য করতে হয়। তারা প্রাণনাশের হুমকি পায়। এছাড়াও তাদের যৌনবাহিত রোগের মতো ঝুঁকি থাকে। আদালত আরও বলেছে, যে এই ধরনের ভুক্তভোগীরা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, বিষণ্ণতা এবং মাদকাসক্তির মতো মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে। এই ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসক এবং ম💦ানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অব্যাহত সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়াও, যারা পাচার হয় তারা প্রায়ই তাদের পরিবার এবং সমাজ থেকে বিচ্꧋ছিন্ন থাকে। কারণ সমাজ তাদের লজ্জা দেয় ও দোষারোপ করে। আদালত বলেছে, এই অপরাধ নির্যাতিতাদের সমাজ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন ও দূরে সরিয়ে দেয়। এই অপরাধটি ভুক্তভোগীদের পরবর্তী শিক্ষা ও বিকাশকেও মারাত্মকভাবে বাধা দেয়।
একটি এনজিও’র তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার চাহিদা পূরণের জন্য একটি আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি মামলা করা হয়। সেই মামলাতেই কেন্দ্রকে এমন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ও🌜ই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রকে প্রতিক্রিয়া জানাত⛎ে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি অবশ্য আদালতকে জানান, যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা যেটা ভারতীয় দণ্ডবিধি পরিবর্তে আনা হয়েছে, তাতে এই অপরাধগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
প্রꩲসঙ্গত, মানব পাচার (প্রতিরোধ, সুরক্ষা ও পুনর্বাসন) বিল ২০১৮ লোকসভায় পাস হয়েছে। তবে ২০১৯ সালে সাংসদদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এটি রাজ্যসভায় পাস করা যায়নি। মানব পাচার (সুরক্ষা, যত্ন ও পুনর্বাসন) বিল ২০২১♍ হিসাবে বিলটির পুনরায় খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। তবে এরপর আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।