একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা। রেশনেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচুর অর্থ বকেয়া রাখার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা। অভিযোগ, ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে রাজ্য সরকারকে রেশনের টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বꦜাবদ বকেয়া রয়েছে ১২,৭১৪ কোটি টাকা। এবার এই বকেয়া টাকা চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিল রাজ্যের খাদ্য দফতর। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা মন্ত্রকের গণবন্টন বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা জয় পাটিলকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্য দফতরের বিশেষ সচিব।
আরও পড়ুন: সার্ভারে সমস্যা, 🐭রেশন বণ্টন করতে পারছেন না ডিলাররা, সমাধানের আর্জি জানিয়ে চিঠি
সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে রাজ্যের ৬ কোটি রেশন গ্রাহককে চাল-গম সরবরাহ করে থাকে সরকার। গমের জন্য খরচ বহন করে কেন্দ্রীয়♌ সংস্থা এফসিআই। আর রাজ্য সরকার চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে রাইস মিলে পাঠাই চ😼াল উৎপাদনের জন্য। এরপর রাজ্য সরকারের গুদামে চাল চলে এলেই কেন্দ্রের তরফে সেই বাবদ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে রাজ্যকে। কিন্তু, অভিযোগ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই খরচ না দেওয়ার জন্য বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা।
খাদ্য দফতরের চিঠিতে লেখা হয়েছে, রেশন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্🃏য বকেয়া টাকা প্রয়োজন। তা না হলে রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। প্রসঙ্গত, চলতি মাস থেকেই রেশনে গ্রাহকদের যে ছাপানো স্লিপ দেওয়া হচ্ছে তাতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার নাম এবং লোগো থাকছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে কত পরিমাণ সামগ্রী বরাদ্দ করা হচ্ছে ও তার মূল্য কত? তাও লেখা থাকছে স্লিপে। চিঠিতে রাজ্যের এই উদ্যোগ চালু হওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশেষ সচিব। তার প্রমাণ স্বরূপ বেশ কয়েকটি স্লিপ চিঠির সঙ্গে পাঠিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আধিকারিকদের অনেকের মতে, এই স্লিপে কেন্দ্রের বরাদ্দের কথা উল্লেখ না থাকার কারণে কেন্দ্র টাকা বকেয়া রেখেছিল। তবে এখন যেহেতু স্লিপ দেওয়া হচ্ছে তাই সে ক্ষেত্রে রাজ🌺্য সরকারের বকেয়া টাকা পেতে আর কোনও সমস্যা হবে ন। যদিও আরও বেশ কিছু শর্ত মানা হয়নি বলে দাবি করছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সহ পিএমজেকেএওয়াই-এর পোস্টার টাঙানো, গ্রাহকদের ব্যাগে সেই ছবি ও পোস্টারের মনোগ্রাম লাগানো প্রভৃতি। এখন রাজ্য সরকারের বকেয়া টাকা কেন্দ্র দেয় কিনা সেটাই দেখার।