ঝাড়খণ্ডে প্রথম দফায় ভোট মিটেছে গত ১৩ নভেম্বর। আগামী ২০ নভেম্বর রয়েছে শেষ দফার ভ𒁃োট। তার আগে ফের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে ঝাড়খণ্ডের জেএমএম সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে আক্রমণ করে বলেছেন, রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশকারীদের উপজাতীয় মহিলাদꦏের বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে বলেই রাজ্যের উপজাতীয় জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারীরা উপজাতির মেয়েদের বিয়ে করলে….কড়া🍨 হুঁশিয়ারি 💙নড্ডার
এদিন ঝাড়খণ্ডের দুমকায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা রাখেন অমিত শাহ। তিনি সেখানে বলেন, ‘হেমন্ত সোরেন আদিবাসী জনসংখ্যা হ্রাসের জন্য দায়ী। কারণ তিনি অনুপ্রবেশকারীদের ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করতে এবং আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করার অনুমতি দিচ্ছেন। তারা এখানে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিচ্ছে যা কখনই অনুমোদন করা হবে না।’ এরপর হেমন্ত সোরেনকে সতর্ক করে শাহ♊ বলেন, ‘হেমন্ত সোরেন কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে মুসলমানদের সংরক্ষণ করার চেষ্টা করছেন। তবে আমি সতর্ক করে দিচ্ছি যে বিজেপি হেমন্ত সোরেন এবং রাহুল গান্ধীর এই জাতীয় কোনও পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না।’
রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রচুর কর্ম সংস্থান হবে বলেও আশ্বাস দেন শাহ। তাঁর আশ্বাস, রাজ্যে বিজেপি জয়ী হলে পর্যাপ্ত শিল্প স্থাপন করা হবে। তাতে কোনও যুবককে কর্মসংস্থানের জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হবে না। দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও হেমন্ত সোরেনকে আক্রমণ করেন শাহ। তিনি বলেন যে, হেমন্ত সোরেন দুর্নীতি এবং তহবিলের ♎অপব্যবহারে জড়িত ছিলেন। কিন্তু, আগামী ২৩ নভেম্বর (ভোট গণনা) তাঁকে বিদায় জানানো হবে। শাহের অভিযোগ, ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষার কারণে হেমন্ত সোরেন আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন। যা ঝাড়খণ্ড সৃষ্টির বিরোধিতা কಌরেছিল।
এদিকে, দেওঘর জেলার মধুপুরে আরেকটি সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস এবং জেএমএম মুসলমানদের সংরক্ষণ দিতে চায়। ঝাড়খণ্ড সংরক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের সীমায় পৌঁছেছে। বিজেপি 🎃মুসলমানদের সংরক্ষণ করতে দেবে না।’ তিনি জোর দিয়েছেন, বিজেপির একজন সাংসদও যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত মুসলমানদের কোনও সংরক্ষণ করতে দেওয়া হবে না।
শাহ ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এই নির্বাচন কোনও বিধায়ক করার নির্বাচন করার জন্য নয়, হেমন্ত সোরেনকে সরিয়ে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী আনার জন্য নয়। এই নির্বাচন ঝাড়খণ্ডের মহিলা, যুবক এবং পিছিয়ে থাকা জাতিদের ভবিষ্যত গঠন করার জন্যಌ। ’