আসালসোলে দু’বারের জেতা আসন ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। আর এই প্🤡রথম আসানসোল লোকসভা আসন জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং লোকসভায় বিজেপির আরও একটি আসন কমে গেল। ফলাফলের পরে আসানসোল জুড়ে শোনা গেল, অ্যাংরি ইয়ং ম্যানের সেই সংলাপ ‘খামোশ’। তবে এটা তিনি বলেননি।😼 মানু্য আজ রাস্তায় নেমে এই সংলাপই আউড়েছে।
প্রায় তিন লক্ষ ভোটে জিতেছেন বিহারীবাবু। বিজেপি ত্যাগ করে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহার থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যদিও বিজেপির প্রার্থী রবিশঙ্কর প্রসাদের কাছেꦉ হেরে যান। রাজনীতির তৃতীয় ইনিংস শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। আর প্রথমেই হাঁকালেন ছক্কা। শনিবার ফল তাই বলছে। যদিও কিছুটা লড়াই করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু যত গণনা এগিয়েছে ততই পিছিয়ে পড়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার রাজনীতিবিদ।
এখানে বিজেপি শত্রুঘ্ন সিনহাকে বহিরাগত বলে মানুষের সামনে তুলে ধরেছিল। যা শিল্পাঞ্চলের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। জবাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রচারে বলেছিলেন, ‘জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘অন্তর্জলী যাত্রা’ ছবিতেও আমি অভিনয় করেছি। আসানসোল শুধু বাঙালি নয়, বিহার, ঝাড়খণﷺ্ড–সহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা মানুষের বাসভূমি।’ আর আজ, শনিবার জয়ের পর তিনি বলেন, ‘এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। এই জয় আসানসোলবাসীর। মমতার নির্দেশ এবং আসানসোলবাসীর আদেশে কাজ করে ♎যাব।’
কিন্তু আসানসোলে এমন হাল হল কেন? এক, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব কাজ করেনি। দুই, বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাতে মানুষের কাছে বিজেপি বিরোধী বার্তা যায়। তিন, বিজেপির দুর্বল সংগঠনই শত্রুঘ্নের জয়কে সহজ করে দেয়। চার, আসানসোল পুরসভা ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেস জয় পেয়েছে। তাই রাস্তা মসৃণ ছিল। পাঁচ, জিতে🎐ন্দ্র তিওয়ারি বিধানসভা নি🤪র্বাচনে বিজেপিকে জয় এনে দিতে পারেননি। ছয়, আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল মানুষকে বোঝাতে পারেননি যে, বিজেপিকে কেন ভোট দেবেন? সাত, পেট্রল–ডিজেল–রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় মানুষ আস্থা রাখতে পারেনি বিজেপির উপর। আট, তৃণমূল কংগ্রেস এখানে ক্ষমতায় না থাকলেও উন্নয়ন পৌঁছে গিয়েছে মানুষের কাছে। সবমিলিয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সেই ফাইট দিতে পারেনি।