মেদিনীপুর বিধানসভ🐷া কেন্দ্রে কেন দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী ﷺকরা হল না? এই প্রশ্ন বিজেপি নেতা–কর্মীদের অনেকের। আবার উপনির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে মেদিনীপুরে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। কিন্তু সব গুঞ্জনে জল ঢেলে দিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি এবার প্রার্থী করেছে শুভজিৎ রায়কে। মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে টিকিট দিয়ে তাঁর ‘অভিমান’ ভাঙানো যাবে বলে মনে করে ছিলেন অনেকে। কিন্তু তা হল না। আর একটা অংশ মনে করেছিল, প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষকে বিধানসভার টিকিট দেওয়া একপ্রকার অবনমন হবে। আর মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ার সমান। দল সেই কাজ করবে না। হ্যাঁ সেটা করেনি বিজেপি। তাই পেশায় আইনজীবী, যুবনেতা শুভজিৎ রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে। যার পর ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুরের পাশের কেন্দ্র খড়গপুর সদর বিধানসভা থেকে জেতেন দিলীপ ঘোষ। কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী জ্ঞান সিং সোহনপালকে পরাজিত করে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, দিলীপ ঘোষকে কেন প্রার্থী করা হল না? এবার সেটা নিয়ে মুখ খুললেন লড়াকু নেতা দিলীপ ঘোষ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘উপনির্বাচনে লড়তে চান না বলে নিজেই দলকে জানিয়েছিলেন।’ তাহলে কি প্রস্তাব এসেছিল? এখনও কি অভিমানী দিলীপ? এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এই কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে জুন মালিয়া জিতে বিধায়ক হয়েছিল🗹েন। এখন এখান থেকেই জিতে তিনি সাংসদ। তাই উপনির্বাচন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কত আসন পাবে তৃণমূল? অঙ্ক কষে জানালেন কুণাল
সূত্রের খবর, উপনির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবিত পাঁচটি নাম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে গিয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল দিলীপ ঘোষ। বাকিরা জেলারই নেতা। প্রার্থী হলে কী হতো সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে চান না। তবে মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের বক্তব্য, ‘দলের কর্মীরা দিলীপ ঘোষ উপনির্বাচনের প্রার্থী হোক চেয়েছিলেন। তাই পাঁচটি নাম সকলের সম্মতিতে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠান⭕ো হয়েছিল। তার মধ্যে দিলীপবাবুর নামও ছিল। কিন্তু পরে ফোন করে আমাকে বলেছিলেন উপনির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না।’