বিজেপির প্রকাশ্য সভা থেকে বিডিওকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক। আগেও একাধিকবার নানা হুমকি দিয়েছিলেন এই বিজেপি বিধায়ক। বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভার বিধায়ক অমরনাথ শাখা একদিন আগেই সরাসরি বিডিও’র নাক ভাঙ্গার হুঁশিয়ারি দেন। আর আজ, সোমবার বিজেপি বিধায়কের ওই মন্তব্যের পাল্টা কড়া সমালোচনা করল তৃণমূল কংগ্র🀅েস। বিজেপি বিধায়🍨কের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। আজ তৃণমূল কংগ্রেস দলের এক্স হ্যান্ডেলে চরম সমালোচনা করেছে বিজেপির।
এদিকে রবিবার বাঁকুড়ার ওন্দায় বিজয়া সম্মিলনী করে বিজেপি। ওই সম্মেলন মঞ্চে হাজির ছিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। এই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে বলতে উঠে বীজ বন্টন নিয়ে অনিয়মের অভি🅺যোগ তোলেন অমরনাথ শাখা। তার প্রতিবাদে আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিডিও অফিস ঘেরাও করার ডাক দেন। সেই কথা বলতে গিয়েই বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘ওই দিন আমরা বিডিও অফিসের কাঁচ না ভাঙতে পারি বিডিও’র নাক তো ভাঙতে পারি।’ সরাসরি সরকারি আমলার গায়ে হাত দেওয়া এবং তাঁর উপর হামলা করার কথা বলে বিধায়ক বিতর্কের জন্ꦏম দিয়েছে। এই মন্তব্যেরই সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে নিজের ওই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে অমরনাথ শাখা দাবি করেন, পঞ্চায়েত সমিতি কৃষকদের মধ্যে গম ও সরষে বীজ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের গুরুত্ব না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো লোকজনকে পাইয়ে দিচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘সরকারিভাবে সরবরাহ করা বীজ বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। পঞ্চায়েত সমিতির বিভিন্ন কাজে টেন্ডার না ডেকে ১০ শতাংশ কাটমানির পরিবর্তে ইচ্ছেমতো ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছে। এসবের প্রতিবাদেই ১৮ ডিসেম্বর বিডিও অফিস ঘেরাও হ💝বে। ওইদিন বিডিও বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার সুযোগ না দিলে এমন প্রতিক্রিয়াই হবে।’ অর্থাৎ নাক ভাঙা হবে।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা হাইকো🐻র্টের, জলাভূমি ভরাট নিয়ে ভর্ৎসনা
এই বক্তব্য ছড়িয়ে𝓀 পড়লে বিজেপির প্রবল সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘বিজেপি বর্বরতার একটা অপ্রত্যাশিত সূচক তৈরি করেছে। বিজেপির ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা জঘন্য ধরণের হুমকি দিয়েছে। বিডিও’র নাক ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্য গুন্ডাদের আলোকিত করে। এই জঘন্য কুৎসিত মন্তব্য প্রমাণ করে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। ক্ষমতার এমন জঘন্য অপব্যবহারের ফল ২০২৪ সালের জমিদারদের উপর পড়বে।’ আর তৃণমূল কংগ্ꦬরেসের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির সংস্কৃতি হল নাকভাঙা, কাচভাঙা। সেদিন এই বিজেপি নেতারা কোথায় ছিলেন, যখন দিল্লির রাজপথে রাজস্থান, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের কৃষকরা ধরনা দিচ্ছিলেন।’