বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সচিবের পরিচয় দিয়ে বাংলার বিজেপি বিধায়কের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গুজরাট থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার কাছে একটি ফোন এসেছিল। যে প্রতারক অশোকবাবুকে ফোন করেছিল, সে নিজেকে জেপি নড্ডার সচিব বলে পরিচয় দিয়েছিল। ফোনে বিজেপি বিধায়ককে বলা হয়েছিল, রাজস্থানে প্রচারের জন্যে দলের কিছু টাকা চাই। সেই বাবদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা পরদিনই একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন অশোকবাবু। পরে অবশ্য তিনি বুঝতে পারেন যে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুলিশের দ্বারস্থ হন অশোকবাবু। (আরও পড়ুন: আজ তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ, ঝমঝমিয়ে ভারী বৃ❀ষ্টি ন🔯ামবে দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলায়)
পুলিশকে অশোক কীর্তনিয়া জানান, গত ২০ মার্চ তাঁর কাছে প্রতারকদের একটি ফোন এসেছিল। দলের সভাপতি জেপি নড্ডার সচিব পরিচয়ে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে বনগাঁ সাইবার অপরাধ থানার পুলিশ। পরে সোনু সিং এবং অর্জুন প্রজাপতি নাম📖ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় গুজরাত থেকে। ট্রানজিট রিমান্ডে সোনু ও অর্জুনকে নিয়ে আসা হয়েছে বনগাঁতে। দু'জনকেই জেরা করা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, এ🌸ই প্রতারণা চক্রের মূল পাণ্ডা সোনু। তল্লাশি চালিয়ে সোনুর কাছ থেকে অনেক নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে সোনুর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেখান থেকেও একাধিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মোদীর পর স্মৃতি, আকাশবাণীতে আজ থেকে রেডিও 💫শো-এর সূচনা করলেন মন্তജ্রী
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ মার্চ 'চಞাঁদ' চেয়ে ফোন গিয়েছিল অশোক কীর্তনিয়ার কাছে। প্রাথমিক ভাবে অতসত না ভেবেই প্রচারকদের পাঠানো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেন বিজেপি বিধায়ক। পরে ভুল বুঝতে পেরে ১৩ এপ্রিল বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই মতো তদন্ত চালিয়ে সোনু এবং অর্জুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুজরাটের মোরবি থেকে এই দু'জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডে গুজর🧸াট থেকে বনগাঁয় নিয়ে আসা হয় এই দু'জনকে। মঙ্গলবার এই দুই ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় সরকার পক্ষ।