রাত পোহালেই ধূপগℱুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল🌄াফল প্রকাশ্যে আসবে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ধূপগুড়িতে। এই নির্বাচন নিছকই একটা উপনির্বাচন হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। কারণ উত্তরের রাজনীতির নিরিখেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে ভোটগণনার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু ফলাফলের আগেই গণনায় কারচুপির আশঙ্কা করছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি। তাহলে কি হারবে বুঝতে পেরেছে বিজেপি?
এদিকে পরাজয়ের আশঙ্কা থেকেই আজ, বৃহস্পতিবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের 🗹জেনারেল অবজার্ভার কৈলাশ সুকদেও পাগাড়ের সঙ্গে দেখা করে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডা: জয়ন্ত কুমার রায়। ধূপগুড়ি বিধানসভা আসন ছিল বিজেপির হাতে। বিধায়ক ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা হওয়ায় এই উপনির্বাচন হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় পেশায় শিক্ষক। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আরও এক💝 শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র রায়। তিনি বাম–কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। আর বিজেপি প্রার্থী করেছে পুলওয়ামার শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়কে।
কেন এমন আশঙ্কা করছেন? অন্যদিকে এবার যদি বিজেপি আসন ধরে রাখতে না পারে তাহলে সেটা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডা: জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণনা কেন্দ্রের ঘটনাগুলি থেকেই এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই জেনারেল অবজার্ভারের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি রাখা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়ে🎀ছেন।’ যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই এই উপনির্বাচন হয়েছে। এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে ধূপগুড়িতে। তার পরও এমন আশঙ্কা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি রাজ্যপালকে, সই করলেন না আনন্দ ব🎶োস
আর কী জানা যাচ্ছে? আগামীকাল, শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ব🧸বিদ্যালয়ের জলপাইগুড়ির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে গণনা হবে। তবে বিজেপির আশঙ্কা সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার মতো এখানেও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কারচুপি করতে পারে শাসকদল। এই আশঙ্কার কথা এ🦂দিন নির্বাচন কমিশনের জেনারেল অবজার্ভারকে লিখিতভাবে জানান বিজেপি সাংসদ। গণনার কাজ যাতে সঠিকভাবে করা হয় তার জন্য কয়েকটি দাবিও তুলেছেন তিনি। যার মধ্যে গণনাকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বেশি সংখ্যায় রাখতে হবে। যাঁরা গণনা কেন্দ্রে ঢুকবেন তাঁদের বৈধ পরিচয়পত্র দেখে তবেই ঢুকতে দিতে হবে। খাবারের জন্য কর্মীরা গণনা কেন্দ্রের বাইরে আসবেন। সেক্ষেত্রেও যেন আই কার্ড দেখে ঢোকানো হয়। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘অবজার্ভার আশ্বস্ত করেছেন। তবুও পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’