ফের একবার বাংলা ভাগের ডাক দিয়ে বতর্ক উসকে দিলেন এক বিজেপি সাংসদ। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুললেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। তাঁর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকালেই জয়ন্তবাবুর বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। উত্তরবঙ্গের প্রত্যেকটা মানুষের প্রশ্ন, আমরা এভাবে কতদিন বঞ্চিত থাকব? তাই সবার দাবি, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা হোক।’বিজেপির তরফে বিক্ষিপ্তভাবে একাধিক সাংসদ, বিধায়ক উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছেন থেকে থেকেই। কখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, কখনও দার্জিলিঙের রাজু বিস্ত, কখনও আবার নীশিথ প্রামাণিক। কয়েকদিন আগেই আবার ইঙ্গিতবহ টুইট করেছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন ছিল, দক্ষিণবঙ্গের তাপপ্রবাহের জন্য উত্তরবঙ্গে স্কুলে কেন আগাম ছুটি পড়বে? এই নিয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুকে চিঠি লিখেছিলেন। পরে একটি টুইট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘এই ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের জন্যই উত্তরবঙ্গে জন্ম নেয় আলাদা রাজ্যের দাবি।’এই সব বিতর্কের মাঝে তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর উত্তরবঙ্গ সফরকালেই কঠিন সব প্রশ্ন তুলে ফের একবার পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। তাঁর বক্তব্য, ‘যে মিনি সচিবালয়ের স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গবাসীকে দেখিয়েছিলেন, সেখানে ক’জন সচিব রয়েছেন এখন? হাজার হাজার মানুষকে রোজ চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হয়। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা দেন না। যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েছেন, ওটা স্বাস্থ্যসাথী নাকি স্বাস্থ্যের বিরোধী, নার্সিংহোমে গেলেই তা বোঝা যায়। এই আবহে গরীবদের আরও গরীব করা হচ্ছে।’ বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, ‘জীবন সিংহ উত্তরবঙ্গকে আলাদা করে ভাবনা চিন্তা করছেন। সেদিক থেকে আমি তাঁর বিরুদ্ধে নই।’এর আগে কেএলও প্রধান জীবন সিংহের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। যার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে বার্তাটি মুখ্যমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছেছিল। সেখানে বলা হযেছিল, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচ–কামতাপুরে পা ফেলবেন না। কোচ–কামতাপুর গঠনে কোনও হস্তক্ষেপ বা বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে পারবেন না। বলপূর্বক কিছু করতে এলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন উৎসর্গ করে দেব। রক্তের বন্যা বইয়ে দেব।’