দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে হোর্ডিং পড়েছে। যেখানে লেখা ‘নতুন তৃণমূল’। আর সেই হোর্ডিংয়ে রয়েছে শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সেই হোর্ডিংয়ে নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি! যা অনেকের কাছে বিস্ময়ের। কারণ এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক🎀ক ক্যারিশ্মায় ক্ষমতায় উঠে এসেছে। সেখানে ২০২২ সালে হাজরা থেকে রাসবিহারী মোড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হোর্ডিং পড়েছে। যেখানে লেখা ‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল।’ আর আজ, বুধবার এই হোর্ডিংয়ের সমালোচনা করছেন বিজেপির সর্ব🔯ভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই হোর্ডিংয়ে ছবি শুধু অ🐭ভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বিষয়টি নিয়ে খড়গপুরের ইন্দা বাজারে চা–চক্রে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দুর্নীতির হাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ইঞ্চি সাইজ থেকে ফুট সাইজ তৃণমূল কংগ্রেসের সব নেতারাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই মানুষকে বোকা বানানোর একটি নতুন ফান্ডা তৈরি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, তৃণমূল 🌠কংগ্রেস সরকারের তৃতী𝄹য় মেয়াদে অভিষেক যে এক নতুন ঘরানার রাজনীতি শুরু করতে চাইছেন, তা একুশের ফলপ্রকাশের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে। দলে এক ব্যক্তি, এক পদ কায়েম করার চেষ্টা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে প্রথমে বাধা পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বাস্তবায়িত করেই ছেড়েছেন। দলের একশ্রেণির নেতার মৌরুসিপাট্টাও খতম করে দিয়েছেন তিনি। বহু জেলার একসময়ের জেলা সভাপতি পদে বদল এনেছেন। মন্ত্রিসভায় তাঁর ঘনিষ্ঠরা মন্ত্রী হয়েছেন। কুণাল ঘোষ একবার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তারপরই এই হ❀োর্ডিং বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এখন প্রশ্ন উঠছে, হোর্ডিংয়ে শুধু অভিষেকের ছবি দিয়ে কি তাহলে বিকল্পের বার্তা দেওয়া হচ্ছে? কারণ অভিষেকের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছে দক্ষিণ কলকাতাজুড়ে। তাতে লেখা একটা লাইন—‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর এই পোস্টার তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও দিলীপ 🦂ঘোষ এই পোস্টারের সমালোচনা করেছেন।