বেলডাঙায় হিংসার জেরে বন্ধ আছে মুর্শিদাবাদ জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছে প্রশাসন। এরই মধ্যে অবশ্য বিজেপি আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দাবি করেছেন, বেলডাঙা কাণ্ডের জেরে নাকি বাংলার চার জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অমিত মালব্য দাবি করেন, বেলডাঙায় এখনও উত্তাপ জারি আছে। এই ঘটনায় সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘারেও দোষ চাপিয়েছেন তিনি। (আরও পড়ুন: সুশান্তের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, কসবা কাণ্ডে এবার 🐟'সক্রিয়' অভিষেক? কী কথা হল দু'জনের?)
নিজের সোশ্যাল ♎মিডিয়া পোস্টে অমিত মালব্য লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বেলডাঙায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। চার জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসরণ করছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এবং✤ তাণ্ডবকারী মুসলিম জনতাকে দমন করতে কিছুই করছে না।'
এদিকে প্রশাসনের তরফ থেকে চার জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশ জারি করা হয়নি। তবে জানানো হয়েছিল, অন্তত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। এর জেরে নানা ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে লেনদেন করা যাচ্ছে না। পড়ুয়ারা নেট ব্যবহার না করতে পারায় পড়াশোনাতেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে কলেজের কাউন্সেলিংয়ের জন্যে প𒁃ড়ুয়াদের অন্য জেলায় যেতে হচ্ছে মুর্শিদাবাদে নেট না থাকায়। এদিকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় স্ব🌱াস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার কার যাচ্ছে না মুর্শিদাবাদ জেলায়। এদিকে ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত পাচ্ছেন না রোগীরা।
এদিকে বেলডাঙা হিংসা নিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে একযোগে রিপোর্ট চেয়েছে হাই কোর্ট। শুক্রবারের মধ্যে ২ পক্ষকেই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে বেলডাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর কিছু যেন পোস্ট না করা হয় তার ওপর পুলিশকে নজর রাখতে বলেছে আদালত। এদিকে রাজ্যের তরফে জাাননো হয়, বেলডাঙা নিয়ে🌌 সোশ্যাল মিডিয়ায় যত আপত্তিকর পোস্ট করা হয়েছিল তা ডিলিট করিয়েছে পুলিশ। আদালত জানিয়েছে, এব্যাপারে প্রত্যেককে সংযত আচরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, বেলডাঙায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, বেলডাঙায় প্রথমেই পুলিশ তৎপর হলে পরিস্থিতি এত খারাপ হত না। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পু൲লিশ চুপ করে ছিল। অপরদিকে রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার। ফলে বেলডাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন ✱নেই।