দেখা করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এই মর্মে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে আর্জিও রেখেছিলেন। সেইౠ সময়ই মনে হয়েছিল, দলেরই জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান। তিনি সুশান্ত ঘোষ। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। যাঁর ওপরে কয়েকদিন আগে হামলা চালানো হয়েছিল। এহেন সুশান্ত ঘোষকেই গতকাল দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। গত ১৫ নভেম্বর সুশান্তকে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। আর ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে যান সুশান্ত। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, সুশান্তের ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই গুলজার সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় গুলশন কলোনির বাসিন🔯্দা জুলকারের নামও সামনে আসছে। এই জুলকারের বিরুদ্ধে ১৫০-র বেশি অভিযোগ থাকলেও পুলিশ এর আগে কোনও পদক্ষেপ করেনি তার বিরুদ্ধে। তবে আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, তিলজলা-তপসিয়ার এক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির 'হাত' রয়েছে জুলকারের ওপর𒊎। যদিও জুলকারের নিজের দাবি, সেখানে জমি কিনে তিনি নিজেই ঠকেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি। এই আবহে কসবা কাণ্ডে স্থানীয় সমীকরণ কতটা কাজ করেছে, তা নিয়ে ক্রমেই সন্দেহ বাড়ছে। এই আবহে অভিষেকের সঙ্গে সুশান্তের এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে গিয়েছিলেন সুশান্ত। সেখান থেকে তি𒁏নি যখন বেরিয়ে আসেন, তখন রাত প্রায় পৌনে ৮টা। এদিকে অভিষেকের সঙ্গে এই বৈঠকে কী নিয়ে কথা হয়েছে, তা প্রকাশ করতে চাননি সুশান্ত। তবে আনন্দবাজারের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কসবার স্থানীয় রাজনৈতি সমীকরণের বিষয়🌳ে সুশান্তের কাছে জানতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর নাকি সুশান্তকে আগের মতোই কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন অভিষেক। পাশাপাশি দল যে সুশান্তের পাশে, সেই নিয়ে স্ষ্ট বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, এর আগেও কালীপুজোর সময় কসবায় দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, হালতুর নবীন সঙ্ঘ ক্লাবের কালীপুজোর প্যান্ডেলের ভাঙচুর চালিয়েছিল ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীরা। ক্লাব সদস্য সমীরণ সাহা ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল লিপিকার গাড়ির চালকের। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল, সুশান্তকে দিয়ে পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন🐻 করানোর জেরেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। হেনস্থার শিকার হওয়া সমীরণ সুশান্ত𒅌 ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা হয়েছিল। এই আবহে শহরের বুকে তৃণমূল বনাম তৃণমূলের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসকদল।