বাংলাদেশে এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে। ভাঙচুর, হামলা, আক্রমণ, খুন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে রাহাজানি, ডাকাতি মন্দির লুঠ, ভাঙচুর কিছুই বাকি নেই। বিশেষ করে হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। এই তপ্ত বাতাবরণে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। সেটা বাংলাদেশের নাগরিক থেকে জঙ্গি চলে আসছে এপার বাংলায়। গ্রেফতারও হচ্ছে। এবার মলদ্বারে সোন🍌া নিয়ে তা লুকিয়ে পাচার করার চেষ্টা হয়। আর এই সোনা পাচারের অভিযোগে স্বরূপনগরে বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন সীমান্ত ফাঁড়ি বিথারি এলাকায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আর চমকে যাওয়ার মতো বিষয় হল, অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় কেজি𝔍 সোনা। যার বাজারদর প্রায় ১.২৪ কোটি টাকা।
বিএসএফ সূত্রে সূত্রে খবর, রাতের দিকে ভারত–বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্ত ফাঁড়ি বিথারি এলাকায় চলছিল জওয়ানদের টহল। তবে এই সোনা পাচার নিয়ে আগাম তথ্য হাতে এসেছিল বিএসএফের কাছে। হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশিও করা হচ্ছিল সকলকে। এমন সময় এক ব্যক্তির দেহে ধাতুর উপস্থিতি মেলে। যদিও তা দেখা যাচ্ছিল না। আর ওই ব্যক্তি বিএসএফের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও মেলেনি কোনও উত্তর। শেষে তাকে সীমান্ত ফাঁড়ি বিথারিতে আনা হয়। ম্যারাথন জেরা করতেই সে স্বীকার করে নেয়, বাংলাদেশ থেকে মলদ্বারে ক🌸রে পাচার করার উদ্দেশে সোনা লুকিয়ে এনেছে সে। এরপর পাচারকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ডি–কোম্পানির নাম করে খুনের হুমকি ফোন, নিরাপত্তা বাড়ল কৃষ্ণেন্দু নারাযণ চৌধুরীর
বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুস সরকার আসার পর থেকেই সেখানে নানারকম অরাজকতা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই ওপার বাংলা থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকরা। এমনকী যে জঙ্গিরা এখানে এসে নাশকতা করার চেষ্টা করেছে তারাও বাংলাদেশ থেকে এসেছিল। যদিও ধরা পড়ে যায়। এবার ওই সোনা পাচারকারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এক্স–রে করলে মলদ্বারের গহ্বরে লুকানো সোনার বিস্কুটের সন্ধান পাওয়া যায়। তখন🧜ই বিএসএফের উপস্থিতিতে মলদ্বার থেকে ১২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন ১.৪০৬ কেজি। এই বিপুল সোনার বিস্কুটের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪২৪ টাকা। এই উদ্ধার হওয়া সোন♔া সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।