মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। বলা ভালো লেখক বিধায়ক। ঘাসফুলের রাজনীতির অন্দরের খবর, খোদ তৃণমূল নেত্রীও পছন্দ করেন তাঁকে। বিধায়ক হওয়ার পরে টোটো চেপে ঘুরে বেড়ান। তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে যখন নানা প্রশ্ন উঠছে, সারমেয়দের জন্য় ফ্ল্যাট, অবৈধ কারবার নিয়ে যখন প্রশ্ন, তখন নিজের আয় ব্যয়ের হিসাব একেবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলেন বিধায়ক। ঠ𝕴িক কী লিখেছেন তিনি?
শিরোনামে লিখেছেন, বিপিএল এমএলএ বেত্তান্ত…
'আমার বিধায়কগিরির এক 💞বছর পুর্ন হয়ে গেছে… দু কাঠা জায়গা কেনার মতো টাকা এক বছর ধরে চেষ্টা করেও জমিয়ে উঠতে পারলাম না । তাই বাধ্য হয়ে আছি বাঁশবেড়িয়ার ‘একভাড়া ঘরে’ । অনেকে বলে বিধায়কদের নাকি লাখ লাখ কামাই !.. আমি আগে এক বধির বিদ্যালয়ে রান্নার কাজ করতাম। সরকারি চাকরি তাই, সর্বশেষ- কেটে কুটে যে মাইনে তুলেছিলাম সেটা ছত্রিশ হাজারের মতো। দেখতে গেলে আজ আমার রোজগার তার চেয়ে অনেক কম। …
বিধায়ক হিসাবে ꦇআমার যে ভাতা সেটা হচ্ছে- ২১, ৮৭💧০ টাকা । তিনটি ষ্টান্ডিং কমিটির মেম্বার। যার ছটা মিটিংয়েরꦓ মধ্যে চারটেতে অবশ্যই উপস্থিত থা💮কতে হবে । তাহলে পাওয়া যাবে আরও ৬০ হাজার টাকা । এই ৬০ আর ওই ২১ ৮৭০ – সব মিলিয়ে টাকার অংক দাড়ালো- ৮১, ৮৭০।
এবার খরচটা দেখে নেওয়া যাক। বিধানসভার অধিবেশান, ষ্টান্ডিং কমিটির মিটিং- এই সব কারনে আমাকে মাসে প্রায় আটবার কলকাতা যেতে হꦯয়। হুগলী থেকে কলকাতা- এই পথ টোটো চালিয়ে যাওয়া যাবে না…তাই বাধ্য হয়ে আমাকে একটা গাড়ি নিতে 𓄧হয়েছে। যার ইএমআই মাসে ১০, ০০০ । দিনে দশ লিটার পেট্রল লাগবে, ধরা যাক তার দাম ১,০০০ টাকা। তাহলে মাসে হচ্ছে ৩০,০০০ টাকা। ড্রাইভারের মাইনে ১৪ হাজার । মগরার একটি অফিস জিরাটের একটি অফিস। দু জন ষ্টাফ যাদের মাইনে ৭,০০০ আর ৭ ,০০০- ১৪ হাজার ।
ইলেক্♋ট্রিক,খবরের কাগজ, চা মুড়ি ও আনুসঙ্গিক সব খরচ মিলিয়ে ধরা যাক ৬,০০০ হাজার। বাড়িতে অনেক লোকজন আসে । বার বার চা বানাতে হয়। কাউকে কাউকে ভাত ডালও দিতে হয়। একটি কাজের মেয়েকে রাখতে হয়েছে, যার মাইনে ৫,০০০ হাজার ।
বাঁশবেড়িয়ার যে বাড়িটায় আমি থাকি, তার ভাড়া ইলেক্ট্রিক বিল কিছু আমার দিতে হচ্ছে না । একজন দিদির অনুগামী দিয়ে দিচ্ছেন তাই খানিক রেহাই পাচ্ছি । কিন্ত ড্রাইভার, দুজন সিকিউরিটি আমি, আমার স্ত্রী , কাজের 🍸মেয়েটি , এক দুজন অতিথি অভ্যাগত - সবার খাদ্য খাবার- রান্নার গ্যাস, ধরা যাক- সব মিলিয়ে দিনে ৫০০ মাসে ১৫, ০০০ হাজার টাকা।
তা🎉হলে সব শুদ্ধ মাসের খরচ দাঁড়াচ্ছে- ৯৪ , ০০০ হাজার । অর্থাৎ- প্রতি মাসে আমার প্রায় ১২,০০০ হাজার টাকা গাঁট থেকে খরচা হয়ে যাচ্ছে। এবার প্রশ্ন হতে পারে তাহলে আমি এতদিন চালালাম কী করে ? আমার সঙ্গে যারা দিবারাত্র থাকে তারা জানে- চাকরি ছাড়ার পর পি এফ বাবদ ৩ লক্ষ ৮০, হাজার টাকা পেয়েছিলাম। আমাজনের ওয়েষ্টল্যাণ্ড বই বিক্রি বাবদ কিছু রয়্যালটি দেয় । নিজের বই ব্যাগে করে 🐲নিয়ে গিয়ে আমি নিজে বিক্রি করি । তা থেকে কিছু কমিশন আসে। ওখান থেকে নিয়েই বাড়তি খরচ চালাতে পেরেছি।' তবে পিএফ গ্র্যাচুয়িটির টাকা পেলে বাড়ি করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন দিদির অনুগামী কি এমনি এমনি বাড়ি ভাড়ার টাকা দেন?