গত বছরের ঘটনা। জলঙ্গির ফরাজিপাড়া এলাকায় ধর্মীয় জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জলসার ভিড়ে মিশে🅷 গিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি ভারতে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। ঠিক একবছর বাদে ফের ফরাজিপাড়ায় সেই ধর্মীয় জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। আর তখনই ধরা পড়ল আটজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। অভিযোগ উঠেছে, গত এক বছর ধরে তারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করেছে। এরপর তারা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আর তখনই বিএসএফ তাদের ধরে ফেলে।
মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে বিএসএফ। সব মিলিয়ে আটজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করꦿা হয়েছে। ফরাজিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার জলঙ্গি থানার পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ধর্মীয় জলসায় প্রচুর ভিড় হয়🌞। মনে করা হচ্ছে তারা সেই সুযোগে ভিড়ে মিশে ভারতে ঢু🥀কে পড়েছিল। তারপর হয়তো ভারতের অন্য রাজ্যে চলে যায় তারা। সেখানেই হয়তো কাজকর্মও শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ভারতে গত এক বছর ধরে তারা কার্যত বাংলাদেশি পরিচয় লুকিয়ে বসেছিল। তাদেরই এবার ধরে ফেলল বিএসএফ।
এদিকে তারা গত একবছর ধরে ভারতের কোথায় কোথায় গিয়েছিল সেটাও দেখা হবে। অন্যদিকে ওই ভিড়ে মিশে আর কেউ এভাবে বাংলাদেশ থেকে ভার✱তে চলে এসেছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। মূলত ভিড়ের সুযোগ নিয়ে তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিএসএফ ইতিমধ্যে তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার চেষ্টা করছে।
এদܫিকে এর আগেও ভারতে আসা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এই ধৃত ব্যক্তিরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, কেন তারা বৈধ নথি না থাকা সত্ত্বেও এতদিন ভারতে থেকে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি এদেশে তারা ভারতে থাকার๊ মতো নথিপত্রও বানিয়ে ফেলেছিল? এর সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন কেন তারা ধরা পড়ল না?
এদিকে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের কড়া নজরদারি থাকে। তারপরেও সীমান্ত পথে চোরাচালানের মতো অপরাধমূলক কাজ চলে। এমনকী বিএসএফের হাতে চোরাচালানকারীদের মৃত্যুর ঘটনাও হয়। কোচবিহারে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে তার একাধিক নজির রয়েছে। গরু পাচার রুখতেও কড়া পদক্ষেপ নিয়ে সীমান্ত রক্♊ষী বাহিনী।