বাংলাদেশি পাচারকারীদের হামলায় গুরুতর ভাবে জখম বিএসএফ-এর এক জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএসএফ জওয়ানের উপরে হামলা চালানো বাংলাদেশিরা গরু পাচারকারী ছিল। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, গরু পাচার করার সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় সেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। সেই সময় অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়ছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হেড কনস্টেবল গোকুল মণ্ডল। (আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য প্ꦺরায় ১৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন এই কর্মীরা, জারি হল বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন নিয়ে ব💯ড় খবর, গঠিত নয়া কমিটি
আরও পড়ুন: আমূল বদলাবে কলকাতা পুর༒সভার ⛄পরিষেবা, নয়া ব্যবস্থা চালু হতে পারে শীঘ্রই
রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার রাতে সীমান্তে থার্মাল ইমেজারের মাধ্যমে সীমান্তে ৬ থেকে ৭ জনের গতিবিধি লক্ষ্য করেন বিএসএফ জওয়ানরা। সীমান্তের এত কাছে সন্দেহজনকভাবে এতজনকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সেখানে যান গোকুল মণ্ডল। সেই সময় বাংলাদেশিরা সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করছিল। তখন গোকুল বাকি সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁর ওপরে প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। জানা গিয়েছে, যেই ধারালো অস্ত্র ও তার কাটার যন্ত্র দিয়ে সীমান্তের কাঁটাতার কাটা হয়েছিল, সেই অস্ত্রই এলোপাথাড়ি ভাবে চালিয়ে জখম করা হয় বিএসএফ হেড কনস্টেবলকে। নিজের আত্মরক্ষার জন্যে গোকুল মণ্ডল পাম্প অ্যাকশন গান থেকে এক রাউন্ড গুলি চালিয়েছিলেন। ঘটনায় ওই জওয়ানের কোমর-ঘাড়ে গুরুতর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তিনি বর্তমানে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভরতি। তিনি জীবন-মরণ লড়াই চালাচ্ছেন। (আরও পড়ুন: বদলে গেল বাংলায় রোড ট্যাক্সের বিধি, এඣবার থেকে দিতে হবে কত টাকা? জানুন বিশদ)
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে 'চিড়'🌊, ভোটের ফল নিয়ে BJP-কে ঠুকল RSS! সঙ্ঘের অসন্তোষে ঘটল 'বিস্ফোরণ'
এদিকে এই ঘটনায় বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের সঙ্গেꦜ বৈঠক করেন। হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বিজিবি-কে হামলাকারীদের পরিচয় জানানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্তরা ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দা। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানায় বিএসএফ আধিকারিকরা। বিএসএফ ধনতলা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছে। এই হামলা প্রসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ডিআইজি একে আর্য জানিয়েছেন, সীমান্তে পাহাড়া দিচ্ছিলেন জওয়ানরা। এই আবহে পাচারকারীরা অসফল হয়। সেই আক্রোশেই হামলা চালানো হয়। নিজেদের কাজ না করতে পেরেই বারবার ভারতীয় জওয়ানদের উপরে হামলা চালানো হচ্ছে।