লোকসভা ভোটের ফলে 'সত্যির মুখোমুখি' হয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি আরএসএস-এর মুখপত্র 'অর্গানাইজার'-এ এমনই লেখা হল। সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, বিজেপির বহু নেতা নিজেদের জগতেই হারিয়ে ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্যারিশ্মার ওপরে নির্ভর করে ছিলেন। তবে মানুষের কথা তাদের কানে যাচ্ছিল না। 'মোদী ৩.০: সঠিক পথ বাছাই করার জন্য বার্তালাপ' শীর্ষক প্রতিবেদনটি লিখেছেন আরএসএস সদস্য রতন শারদা। এদিকে এই প্রতিবেদন এমন এক সময় প্রকাশিত হল, যখন মোহন ভাগবতও বেশ কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। সোমবারই ভাগবত এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, 'এক সত্যিকারের সেবকের কোনও অহংকার থাকে না।' তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে জোর জল্পনা ও চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে মোদী বারংবার নিজেকে 'প্রধান সেবক' আখ্যা দিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: মণিপুর নি♋য়ে মোদী সরকারকে 'তোপ' ভাগবতের, RSS ꦯপ্রধানের সুরে তাল ঠুকলেন বিরোধীরা)
আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য প্রাཧয় ১৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন এই কর্মীরꦗা, জারি হল বিজ্ঞপ্তি
এদিকে অর্গনাইজারের প্রতিবেদনে লেখক রতন লেখেন, 'বিজেপিকে আরএসএস চালায় না। তবে ভোটের ময়দানে স্বয়ংসেবকদের কাছে পৌঁছে সাহায্য পর্যন্ত চায়নি বিজেপি।' এদিকে সোমবার মোহন ভাগবত নিজের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যে বলেছিলেন, 'যে সত্যিকারের সেবক হন, তাঁর কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না। সবাই নিজের কাজ করেন। যারা নিজেদের কাজ করেন, তাঁদের কোনও অহংকার থাকা ঠিক নয়। তাহলেই সেই ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে সেবক।' (আরও পড়ুন: রাজ্য সরকার𒉰ের চুক্তিভিত𒉰্তিক কর্মীদের বেতন নিয়ে বড় খবর, গঠিত নয়া কমিটি)
আরও পড়ুন: ৩ দিনে তৃতীয়বার রক্তাক্ত ভ꧙ূস্বর্গ, এবার 𒁃সেনা ঘাঁটিতে হামলা জঙ্গিদের, জখম ২ জওয়ান
এর আগে নির্বাচন চলাকালীন বিজেপি প্রধান জেপি নড্ডা এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, বিজেপি এখন অনেকটা বেড়েছে। তাই এখন আর আগের মত🐓ো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরএসএস-এর সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই তাদের। এই আবহে আরএসএস-এর মুখপত্রের প্রতিবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, 'বিজেপি নেতাদেরই জবাব দিতে হবে যে কেন তারা মনে করল যে আরএসএস-এর কাছে আসতে হবে না।' প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, '২০২৪ সালের ভোটের ফল অতি আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সামনে সত্যিকারের চিত্রটা তুলে ধরেছে। তারা এটা বুঝতেই পারেনি যে মোদীর '৪০০ পার' স্লোগান আদতে তাদের জন্য একটি টার্গেট ছিল এবং বিরোধীদের জন্য চ্যালেঞ্জ।'
এই আবহে প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, 'টার্গেট কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি পোস্ট করে পোস্টার লাগিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না।' এরপর প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়, স্থানীয় নেতাদের দাম না দিয়ে দলবদলুদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। গোটা দেশে বিজেপির অন্তত ২৫ শতাংশ প্রার্থী দলবদলু ছিলেন। দেশের ৫৪৩টি আসনেই মোদী প্রার্থী, এই ধারণাই বিজেপির হারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে অন্যান্য দলে ভাঙন ধরানো নিয়েও বিজপিকে ঠুকেছেন আরএসএস সদস্য রতন শারদা। তিনি লেখেন, 'অকারণে রাজনৈতিক অঙ্ক কষতে গিয়ে দল ভাঙানোর খেলা যে বিজ𝄹েপির জন্যেই ক্ষতিকারক হয়েছে, তার অন্যতম উদাহরণ মহারাষ্ট্র। বিজেপি এবং বিভক্ত শিবসেনার জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এনসিপি-তে ভাঙন ধরিয়ে অজিত পাওয়ারকে নিয়ে আসে বিজেপি। এতে বিজেপি ভোটাররা দুঃখ পেয়েছেন। কারণ তারা চিরকাল কংগ্রেসি ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়ে এসেছেন। এই এক কাজেই বিজেপি নিজেদের ব্র্যান্ড ভ্যালু কমিয়ে দিয়েছে।'