অবশেষে পুলিশের জালে পাণ্ডেরা। হাওড়াꦛর শিবপুরে ব্যবসায়ীর গাড়ি এবং পরে ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছিল। তাতে নাম উঠে এসেছিল তিন পাণ্ডে ভাইয়ের। তারপর থেকেই বাড়ি–গাড়ির মালিকরা পলাতক ছিলেন। অবশেষে তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। গুজরাত এবং ওড়িশায় একযোগে অভিযান চালিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযু♎ক্ত শৈলেশ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হল। তাঁর দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিত পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের আরও এক সহযোগী। আজ, শুক্রবার ওড়িশা থেকে তিন পাণ্ডে ভাইকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। আর তাঁদের এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে গুজরাত থেকে। ধৃতদের আজই ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে।
ঠিক কী ঘটেছিল হাওড়ায়? সম্প্রতি হাওড়ার শিবপুর এলাকায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাট এবং গাড়ি থেকে নগদ ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। তার সঙ্গেই মিলেছিল সোনা, রুপো এবং হিরের গয়নাও। কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগটি এসেছিল রা﷽ষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে। সেখানে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকার লেনদেনের জেরেই অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শিবপুরে তদন্ত চালিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্♏রতারণা–সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
আর কী জানা গিয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, শৈলেশের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২০ কোটি টাকার বেশি রয়েছে। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শৈলেশ পাণ্ডে বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে সাদা করতেন। এমনকী বিভিন্ন ব্যাঙ্𒈔কে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা ট্রান্সফার করিয়ে সাদা করতেন। এমনকী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ মেলে। পরে আরও ১৭টি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকা🍃উন্টের খোঁজ মেলে। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে নতুন করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশ। পরে বাকি অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ মিলেছে। সব মিলিয়েএখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।