এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় খবর হল গরুপাচার মামলায় প্রথম জামিন মিলল। জামিন পেলেন অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। কিন্তু জামিন চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। সেটা আজ, শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে 🤡যায়। সুতরাং তিহাড় জেলেই কাটতে চলেছে সুকন্যা মণ্ডলের দুর্গাপুজো। অনুব্রত মণ্ডলও এখন তিহাড় জেলে বন্দি। বাবা–মেয়ে সেখানেই দুর্গাপুজো কাটাবেন। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেছে কেষ্টর হিসাবরক্ষকের। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর গ্রেফতারের কয়েকদিন পরই নয়াদিল্লিতে তলব করা হয় মনীশ কোঠারিকে। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশেষে আজ, শুক্রবার জামিন পেলেন কেষ্টর হিসাবরক্ষক।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক চার্টার্💮ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মনীশ কোঠারি জামিন পেতেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কেষ্ট কবে জামিন পাবেন? এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট কোনও কথা জানায়নি। গ্রেফতার হওয়ার পর মণী𝔍শ কোঠারি বলেছিলেন, ‘আমি কিছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হওয়া।’ ২০১৩–১৪ সাল থেকে বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বোলপুরের বাসিন্দা মণীশ কোঠারি। তারপরই তাঁর সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ। ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।
অন্যদিকে মণীশ কোঠারি জামিন পেলেও খারিজ হয়ে যায় সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের আর্জি। তিহাড় জেলেই রাখা হয়েছিল মণীশক𝓡ে। এবার অবশেষে গ্রেফতারির প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় পর জেলমুক্তি হচ্ছে কেষ্টর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। তবে তদন্তের প্রয়োজনে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা। গরু পাচার মামলায় বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। গত বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত করেছে। সুতরাং দুর্গাপুজোর আগে তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাচ্꧑ছেন না কেষ্ট। বাকি শুনানি হবে দুর্গাপুজোর পর।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী থেকে নিখোঁজ বিদে🉐শি ছাত্র, অপহরণের অভিযোগে তৈরি হয়েছে রহস্য
তবে গ্রেফতার হওয়ার পর যখন মণীশ ইডি হেফাজতে ছিলেন, তখন একদিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা গিয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। এদিন জামিন পেলেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু এই জামিনে আশার আলো দেখছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। তাতে ইতিবাচক কিছু ঘটতেও পারে। আগে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ওই নির্দেশকে চ্যা💎লেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কেষ্ট মণ্ডল।