একমাস এখনও হয়নি। ঝালদার পুরসভার পুরপ্রধান পদে বসেছেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। সেখানে হঠাৎই ঝালদায় সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হল তাঁকে। ঝালদার তিন নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই তলব করার খবর প্রকাশ্যে আসতে হইচই পড়ে গিয়েছে। তাঁর কাছ থেকে কোন তথ্য জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা? তা নিয়ে🥃 প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর সিবিআই এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
ঠিক কী ঘটেছে ঝালদায়? সূত্রের খবর, শনিবার সনꦯ্ধ্যেবেলায় ঝালদার বন দফতরের বাংলোয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়ে দেখা করেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন তিনি। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে যান শিলা দেবী। কেন তাঁকে ডাকা হয়েছে? এই নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি শিলা চট্টোপাধ্যায়। তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ডামাডোল চলছিল ঝালদা পুরসভায়। এমনকী মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে পুরসভার চেয়ারম্য়ান নির্বাচনে ৭–০ ব্যবধানে জিতে পুরসভা দখল করে কংগ্রেস। আর তারপরই পুরপ্রধান হন শিলা চট্টোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান? এই সিবিআই তলব নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ঝালদার প্রাক্তন পুরপ্রধানকে। তখন সংবাদমাধ্যমে শিলা দেবী বলেন, ‘কিছু প্রশ্ন ছিল সিবিআইয়ের। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।’ কিন্তু হঠাৎ তাঁকে ডেকে পাঠানোর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে ঝালদাজুড়ে। তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের পরেই রাজ্য পুলিশের পক্🐲ষ থেকে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু হয়। এদিকে তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। তখনই এই মামল𓆏ার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। আর একাধিকবার ঝালদা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত নানা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। যদিও শনিবার꧃ শিলা চট্টোপাধ্যায়কে ঠিক কোন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট নয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে মোট ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলর, ১ জন নির্দল এবং ৫ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। ভোটাভুটিতে জয়ী হয় কংগ্র🗹েস। এখানে চেয়ারম্য়ান হন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য আগেই কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। তবে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে শিলা দেবী কিছু জানেন কিনা তা জানতেই তলব করেছিল সিবিআই বলে সূত্রের খবর। আবার ঝালদা পুরসভায় কিছু অনিয়ম নিয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে কেউ 🐷মুখ খোলেননি।