ডায়েরিয়া এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁকুড়ায়। এমনকী তার জেরে বাঁকুড়ায় গত ছয় দিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমন ঘটনা দেখা দিয়েছে ছাতনার তাঁতিপুকুর এলাকায়। এখানে ডায়েরিয়ার প্রকোপে আক্রান্ত এলাকার আরও প্রায় ২৫ জন মানুষজন। বর্ষার সময়েই বাঁকুড়ার ছাতনায় থাবা বসালো ডায়েরিয়া। ছাতনার তাঁতিপুকুর এলাকায়🍬 ইতিমধ্যেই ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ডায়েরিয়ায় এই মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি ছা🎶তনা ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। আজ, শুক্রবার আবার নতুন করে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
এদিকে এই ঘটনার পর তাঁতিপুকুর এলাকাবাসীদের সুবিধার্থে মেডিক্যাল টিম বসেছে এলাকায়। কারণ খুঁজতে এলাকার পুকুর এবং পানীয় জলের নলকূপ থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তিনটি পুকুর এবং চার–পাঁচটি টিউবওয়েল থেকে জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই পরিবর্তে দুটি খাবার জলের ট্যাংক দেওয়া হয়েছে এলাকাবাসীর ব্যবহারের জন্য। প্🔯রশাসনের দাবি, তিনজন মারা যায়নি। ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৭ অগস্ট থেকে এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়💦েরিয়া। তার জেরে জ্বর, বমি নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। বাসিন্দারা জানান, খাবার জল থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তার জেরেই একসঙ্গে এলাকার এতজন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে আজ, শুক্রবার এই নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। ছাতনা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অর্চনা কুন্ডু আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজ নতুন করে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা সরবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের একজনকে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে🎉 স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ডায়রিয়াতে কোন মৃত্যু হয়নি।’ অথচ স্থানীয় সূত্রে খবর, ডায়েরিয়াতেই এলাকার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে পাঁচ দিনে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১২ জন। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, আতঙ্কে জল খেতেও ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোকে সামনে রেখে সেজে উঠছে দিঘা, আ🍌রও মোহময়ী রূপে ধরা দেবে 🐷সৈকতনগরী
ঠিক কী বলছেন ক🐎েন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী? স্বাস💝্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আশা কর্মীরা এলাকায় এসেছেন। তাঁরা ওষুধ, ওআরএস, ব্লিচিং পাউডার বিলি করছেন। আর গ্রামবাসীদের পুকুর এবং নলকূপের জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে এলাকায় বিলি করা হচ্ছে জলের পাউচ। গোটা বিষয়টি দেখতে আজ পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। তিনি ঘুরে দেখেন সবটা। আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললাম। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ডায়রিয়াতে তিনজনের মৃত্যু অস্বীকার করেছেন। তাহলে মৃত্যুটা হল কিসে! সেটা তো বলুন?’