চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে তুমুল আলোড়ন দেখা দিল। কারণ এখানের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে ▨আত্মঘাতী হলেন এক রোগী। আর কেউ তা ঠেকাতে পারলেন না বলে অভিযোগ। মৃত রোগীর নাম প্রকাশচন্দ্র বাইন(৪৩)। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত শুক্রবার রাতে চন্দননগর হাসপাতালে পেটে ব্যথা এবং রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন পেশায় গাড়ি চালক প্রকাশ। মুর্শিদাবাদের বাস𝓡িন্দা প্রকাশচন্দ্র বাইন চন্দননগরের মহাডাঙা কলোনীতে থাকতেন। গত সাত বছর ধরে সেখানে কর্মসূত্রে বসবাস করতেন। হঠাৎ অসুস্থ হয় চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
এদিন হঠাৎ নার্সদের দিকে কাঁচি নিয়ে তেড়ে যান প্রকাশচন্দ্র বাইন। তারপর ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ঢুকে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। নার্সিং স্টাফদের ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়েন। তারপর সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে যান। সেখান থেকেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন রোগী প্রকাশচন্দ্র। চিকিৎসকরা তাঁকে নানাভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত আর সম্ভব হয়নি। রবিবা𒀰র রাতে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে যায় হুগলির চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। কেন এমন করলেন ওই রোগী? তাহলে কি অবসাদে ভুগছিলেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চলছে।
আরও পড়ুন: ভাসমান সৌর প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ, বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাবনা
ঘড়িতে তখন রাত দেড়টা। হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন রোগী প্রকাশ। নার্সদের টেবিল থেকে কাঁচি নিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। অন্য রোগী ও নার্সদের মারতে উদ্যত হন। তারপরই সিঁড়ি বেয়ে ছাদে উঠে যান। আর হঠাৎ ঝাঁপ দেন। তাঁকে আটকাতে গেলে হাতে কাঁচি নিয়ে হামলা করছিলেন বলে অভিযোগ। তাই ভয়ে তাঁর কাছে কেউ যাননি। ছাদ থেকে পড়ে গেলে তাঁকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু রাত ৩টে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। ওই রাতেই খবর দেওয়া হয় রোগীর পরিবারকে। আজ, সোমবার সকালে প্রকাশচন্দ্র বাইনের পরিবার হাসপাতালে এসে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন।