ন্যাকের মূল্যায়ন চালু হ𓃲ওয়ার পর এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের কোনও সরকারি কলেজই ‘এ প্লাস গ্রেড’ পাইনি। তবে এবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি কলেজকে ছাপিয়ে ন্যাকের মূল্যায়নে এ প্লাস গ্রেড পেয়ে নজির গড়ল চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজ। অর্থাৎ এটিই রাজ্যের প্রথম সরকারি কলেজ যা ন্যাকের মূল্য মানে পেল এ প্লাস গ্রেড। ১৬২ বছরেরও বেশি পুরনো এই কলেজের পড়াশোনার মান থেকে শুরু করে শিক্ষক পড়ুয়াদের ভূমিকা, পরিকাঠামো সমস্ত কিছু দেখে এই নম্বর ন্যাকের তরফে এই নম্বর দেওয়া হয়েছে চন্দনগর গভর্মেন্ট কলেজকে। সোমবার ন্যাকের প্রতিনিধি গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়, আইকিউএসই- এর কো-অর্ডিনেটর দীপান্বিতা মজুমদার কলেজ কর্তৃপক্ষকে এর সার্টিফিকেট তুলে দেন। এটি নিশ্চিত ভাবেই বড় কৃতিত্ব এই কলেজের জন্য়।
আরও পড়ুন: কলেজ ভরতির পোর্টালে OTP-র সমস্🤪যা, গুগলের কাছে ছুটল রাজ্য, এখন ঠিক হয়েছে কি?
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাকের প্রতিনিধিরা গত ২৫ এবং ২৬ জুন কলেজ পরিদর্শন করেন। তার পর সোমবার তাদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এর আগে চন্দনগর গভর্নমেন্ট কলেজ ন্যাকের মূল্যায়নে বি প্লাস প্লাস গ্রেড পেয়েছিল ২০০৭ এবং ২০১৬ সালে। তবে এবার তৃতীয় দফায় রাজ্যের সব কলেজকে ছাপিয়ে গেল মহাবিদ্যালয়টি। প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় স্তরে ন্যাকের মূল্যায়ন শুরু 🤡হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তারপর থেকে এটিই রাজ্যের প্রথম কোনও সরকারি কলেজ যা এ প্লাস গ্রেড পেল।
উল্লেখ্য, ১৬২ বছরেরও বেশি পুরনো চন্দননগর গভর্নমেন্ট কলেজের অনেক ইতিহাস রয়েছে। ফরাসি উপনিবেশ থাকার সময় এটি প্রথমে একটি স্কুল ছিল। পরে ১৯৪৮ সালে কলেজে পরিণত করা হয়। তখন নাম দেওয়া হয় চন্দননগর মহাবিদ্যালয়। তবে বিপ্লবী আন্দোলন চলার সময় ১৯০৮ থেকে ১৯৩১ সা𓃲ল পর্যন্ত মহাবিদ্যালয়টি ২৩ বছর বন্ধ ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৪ সালে থেকে এই কলেজটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ শিক্ষা ✨দফতর পরিচালনা করছে।
একাধিক বিভাগ পড়ানো হয় এই কলেজে। আর্টস, কমার্স এবং সায়েন্সের ১৯ টি বিভাগ রয়েছে স্নাতক স্তরের। এছাড়া স্নাতকোত্তর বিভাগ রয়েছে তিনটি। চন্দনগর কলেজে একটি মিউজিয়ামও রয়েছে।🍷 সেটি ২০২৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই কলেজে ক্যাম্পাসিংয🐈়ের জন্য দেশ-বিদেশের বহু সংস্থা আসে। এবার ন্যাকের শংসাপত্র পাওয়ায় কলেজের খ্যাতি আরও বাড়ল।