লটারির টিকিটে প্রাইজ জেতার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে সাড়ে চার লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে রানীগঞ্জ থানা এলাকায়। এই ঘটনায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ার জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারকের খোঁজে তল্লাশি চাল🐻াচ্ছে।
কীভাবে হল প্রতারণা?
পুলিশ সূত্ဣরে জানা গিয়েছে, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম গঙ্গারাম। তিনি রানীগঞ্জের জে কে নগর অঞ্চলের বাসিন্দা। দীর্ঘ একটা সময় ধরে তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার পাশাপাশি লটারি বিক্রি করেন। তিনি জেকে নগর মোড় এলাকায় লটারির টিকিট বিক্রি করেন। গত ২৪ এপ্রিল তাঁর দোকানে রাজেশ কুমার নামে এক ব্যক্তি বর্ধমানের বাসিন্দা বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। ওই ব্যক্তি সন্ধ্যাকালীন সময়ে একটি লটারির টিকিট নিয়ে এসে দাবি করেন তিনি ৫০টি টিকিটে মোট সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা জিতেছেন। এরপর টিকিটগুলি মিলিয়ে দেখেন গঙ্গারাম। তিনি জানতে পারেন সত্যিই সেই টিকিটের নম্বরের সঙ্গে মিল রয়েছে ফলাফলের। সেই মতো তিনি আসানসোলের একটি লটারি বিক্রেতা এজেন্সির কাছে ওই লটারির মালিককে সঙ্গে নিয়ে যান। এরপর টিকিট জমা দিলে তারা সে🥂ই টিকিটটি দেখে ওই ব্যক্তিকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে দেয়।
পরে এ বিষয়ে হঠাৎ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের কাছে খবর আসে যে টিকিটে টাকা জেতার কথা বলা হয়েছে সেই টিকিটটি আসলে নকল। ওই টিকিটটির যে নম্বর রয়েছে সেই নম্বর থেকে আরও একটি পুরস্কার ইস্যু হয়েছে। যা দেখেই বোঝা যায় ওই ব্যক্তির টিকিট নকল। এই ঘটনায় জামুরিয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এলাকার বিভিন্ন ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এই প্রতারক বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের প্রতারণা কর🧸ে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছে। বর্তমানে যে ব্যক্তি এই টাকা নিয়েছে সেই রাজেশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে বলে জানান অভিযোগকারী।
এই খ💖বরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লি🔥ঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup