লোকসভা ভ𒊎োটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের জুনিয়ার কনস্টেবল পদে উন্নত করে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কী ভাবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জুনিয়ার কনস্টেবল পদে দেওয়া হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে নীতিমালা তৈরির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
আরও পডুন। দেশের সবচেয়ে ‘অপরিষ্কার শহর' হাওড়া-সহ বাংলার ১১পুরসভা পাচ্ছে কেন্দ্রের🍨 পুরস্কার
আরও পডুন। রাজ্যে আ⛎বার এক রাস্ত📖ার রং নীল–সাদা, আধুনিক এই পথ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন
কেন এই উদ্যোগ?
এমনিতে রাজ্যের থানাগুলিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম পুলিশকর্মী রয়েছে। বেশিরভাগ থানায় কনস্টেবলের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ জন করে। এই সংখ্যা দিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃ꧙ঙ্খলা রক্ষার বিষয়টিও কপালে ভাঁজ ফেলেছে সরকারের। তাই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। তা ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সিভিকদের দাবি ছিল স্থায়ীকরণের। এবার সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে তাঁদের স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে বর্তমানে ১ লক্ষ ২০ হাজারের মতো সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছে। আগে দশম 🍌এবং দ্বাদশ শ্💎রেণি পাশ করে এই কাজে ঢুকতেন। কিন্তু কাজ না পেয়ে বর্তমানে উচ্চশিক্ষতরাও এই পেশায় যোগ দিচ্ছেন।
জুনিয়ার কনস্টেবল হলে কী কী সুবিধা
সিভিকদের জুনিয়ার কনস্টেবল পদে নিয়োগ হলে তাদের দীর্ঘ দিনের স্থানীকরণের দাবিপূরণ হবে। অস্থায়ী ও অনিশ্চয়তার যে আশঙ্কা, তা দূর হবে। সম্প্রতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভাতা এক হাজার টাকা করে বাড়াছে। 𓄧তবু তা স্থায়ী কর্মীদের তুলনায় অনেকটা কম। তাই এই ভাতা বা♒ড়ানোতে মোটেই খুশি ছিল না সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে জুনিয়ার কনস্টেবল পদে চাকরি হলে তাদের দাবি অনেকটা মিটবে বলে মনে করার হচ্ছে।
কী ভাবে হবে নিয়োগ
কী ভাবে নিয়োগ করা হবে তা ন🍌িয়ে ইতিমধ্যে ভাবনাচিন্তা চলছে। দেখা যাচ্ছে বেশি ভাগের বয়স ৩০ পার হয়েছে। তাছাড়া কনস্টেবলের পদে আবেদন করতে হলে নির্দিষ্ট উচ্চতার প্রয়োজন হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারের ꧙সেই উচ্চতা সবার নাও থাকতে পারে। তাই তাদের জন্য নিয়মনীতি কতটা শিথিল করা যায় তা নিয়েও চর্চা চলছে।
সাধারণ ভাবে পুলিশরাই জুনিয়র কনস্টেবল পদে উন্নඣত হন। তাই তাদের আগে থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকে। এক্ষেত্রে সিভিকদের কোনও প্রশিক্ষণ থাকে না। তাই তাদের জুনিয়ার কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হলে আলাদা করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে তা নিয়েও ভাবছে নবান্ন।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি শুরু হয়, সিভিকদের দীর্ঘ দিনের দাবি অনেকটাই পূরণ হবে। পদোন্নতির আশায় তাঁরা আরও ভালো করে কাজ করবেন। তেমনি পুলিশ কর্মীর অভাবও কিছু &🌺nbs♕p;তেমনটাই মনে করছে নবান্ন।