মাছ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে বিপত্তি। ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনের ধাক্কায় তলিয়ে গেল মৎস্যজীবীদের ট্রলার। ঘটনায় ১১ জন মৎস্যজীཧবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন দুজন মৎস্যজীবী। ত🐲াদের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ার মালভানের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে। এমন ঘটনার পরেই উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে মৎস্যজীবীদের পরিবার।
আরও পড়ুন: দিঘায় 𝐆সকাল থেকে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, মোহনায় ডুবল মৎস্যজীবীদের ট্রল🅰ার, ভাঙল ভুটভুটি
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাছ ধরার জন্য ‘মার্থোমা’ নামে একটি ট্রলারে করে ১৩ জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে রওনা দিয়েছিলেন। গোয়া থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে তাদের অবস্থান ছিল ট্রলারটির। সেই সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনের সঙ্গে ওই ট্রলারটির আচমকা ধাক্কা লাগে। তার জেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রলারটি সমুদ্রে তলিয়ে যায়। এদিকে, বিষয়টি জানতে পেরেই উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে নৌবাহিনী। ৬ টি জাহাজ এবং হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার কাজ চালানো হয়। নৌবাহিনীর পাশাপাশি মৎজীবীদের উদ্ধার অভিযানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজও। এরপর অভিযান চালিয়ে একে একে ১১ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়💝। তবে দুজন মৎসজীবী এখনও 😼নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধান চলছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
নৌবাহিনীর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গোয়া থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চি🐓মে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনের সঙ্গে ট্রলারের ধাক্কা লাগার খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। মার্থোমার ২ মৎস্যজীবীর খোঁজে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী সহ অন্যান্যদের মোতায়েন করে জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’ এদিকে, কী কারণে ধাক্কা লেগেছে তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
ভারত মহাসাগরে নৌবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই সাবমেরিন। কারণ এগুলি অ্যান্টি-সার্ফেস এবং অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধ, গোয়েন্দা অপারেশন, মাইন স্থাপন এবং এলাকা নজরদারির মতো বিভিন্ন মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম। এই সাবমেরিনগুলি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির। এতে উন্নত অ্যাকোস্টিক সাইলেন্সিꦬং কৌশল, কম শব্দ করা, হাইড্রো-ডাইনামিক্যালি অপ্টিমাইজের মতো প্রযুক্তি রয়েছে এবং নির্ভুল অস্ত্র নিক্ষেপ করে শত্রুর উপর আক্রমণ করতে সক্ষম।