আজ, শনিবার সকাল থেকেই ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে সমুদ্রসৈকত দিঘায়। তার প্রভাব পড়েছে গোটা সৈকতনগরীতে। আজ সকালে প্রবল বৃষ্টিতে ভিজেছে দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশও। আর এদিন সকাল থেকে দিঘার সমুদ্রের চেহারা বদলে গিয়েছে। পূর্ণিমার প্রাক্কালে ভরা কোটালে উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। ফলে দিঘা মোহনা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটল। এমনকী আর একটি ভুটভুটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রল⛄ার এবং ভুটভুটির ১৮ জন অন্য ট্রলারে চেপে, সাঁতরে নিজেদের প্রাণ বাঁচান। আজ সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা।
এদিকে দিঘায় আজ সকাল থেকেই দেখা যায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস। বড় বড় ঢꦺেউ আছড়ে পড়ে সৈকতে। ওল্ড দিঘার সমুদ্রপাড়ে ꧒হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে ছিলেন পর্যটকরা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দিঘা–সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত এমন আবহাওয়াই থাকবে। মাঝ সমুদ্রে মা অন্নপূর্ণা ট্রলারটি সম্পূর্ণ ভেঙে সমুদ্রে ডুবে যায়। আর নিউ প্রতিমা ভুটভুটিকে কোনওরকমে পাড়ে টেনে আনা সম্ভব হয়েছে। দুটি ট্রলারে থাকা জাল, ডিজেল এবং চাল–সহ অন্যান্য সামগ্রী মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরুর পিছনে ছুটলেন পুরপ্রধান, আলিপুরদুয়ারের রাস্ত🥃ায় এমন দৃশ্য দেখে হতবাক মানুষজন
অন্যদিকে পর্যটকের ঢল নেমেছে জলোচ্ছ্বাসের মধ্যে দিঘার সমুদ্রসৈকতে। তীব্র জলোচ্ছ্বাস উপভোগ করেন পর্যটকরা। দিঘা, কাঁথি, মন্দারমনি, তমলুক–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি চলছে জোরদার। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। তাই বৃষ্টি পড়ছে মুষলধারে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন হয়েছে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে𒅌 যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ভুটভুটির মালিক শুকদেব জানা বলেন, ‘পূর্ণিমা থাকার জেরে উত্তাল হয়েছে সমুদ্র এবং ড্রেজিং না হওয়ার কারণে এই সমস্ত দুর্ঘটনা ঘটছে।’
এছাড়া রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বারবার ড্রেজিংয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ভুটভুটি মালিকের অভিযোগ, ‘সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবী কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাই নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্যজীবীদের ভাতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনও পর্যন্ত আমরা কেউ পাইনি। বৃষ্টির মরশুমে আমরা ইলিশের সন্ধানে বেরিয়ে যাই। মরশুমের প্রথমে এই ধরনের ধাক্কা খাওয়ায় পুরো ব্যবসায় আমাদের লোকসান হয়ে যায়।’ শংকরপুর ফিশারম্যান ফ্রি স্ট্যাটাস অ্যাসোসিয়নের সম্পাদক স্বদেশ নায়কের কথায়, ‘১২ বছর ধরে মৎস্যজীবীদের এই সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। আমরা প্রত্যেক বছরই ড্রেজিংয়ের কথা বলি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হ🅺য় না।’