সমতলে গঙ্গাপার তো বটেই গঙ্গার উৎপত্তিস্থল গোমুখেও ব্যাপকভাবে বাড়ছে দূষণ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নমামি গঙ্গে প্রকল্পে গঙ্গাকে ൩দূষণমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। আর এবার উৎপত্তিস্থল থেকে শুরু করে সমুদ্রে মিশে যাওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গোমুখ থেকে সাগর পর্যন্ত গঙ্গাপার সাফাই করে গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় পরমাণু শক্তি দফতরের অধীনস্থ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার (ভিইসিসি)। জানা গিয়েছে নমামি গঙ্গে প্রকল্পে যেভাবে গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করা হচ্ছে সেই আদলেই গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার কাজে নিযুক্ত হয়েছে ভিইসিসি।
আরও পড়ুন: আদালতের ভর্ৎস💫নার পরেই গঙ্গার ঘাট প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত করতে নির্দেশ মুখ্যসচিবের
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই গঙ্গা সাফাই অভিযান চালানো হবে তিন বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত গঙ্গা পরিষ্কার করা হবে। আর সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে গঙ্গা দূষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো হবে। সংস্থার সল্টলেকের দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা।।প্রথম পর্যায়ে গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে সাফাই অভিযান চালানো হয়েছꦑে। গঙ্গার এই গতিপথে ৩১০ কিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ২২০ কেজি প্লাস্টিকসহ অন্যান্য অপচনশীল বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছে। পরে সেগুলি স্থানীয় পুরসভায় জমা দেওয়া হয়েছে।
ভিইসিসির তরফে জানানো হয়েছে, মূলত পর্বতারোহণ থেকে শুরু করে ভ্রমণ, তীর্থ যাত্রার ফলে গঙ্গার পার প্লাস্টিক এবং অন্যান্য অপচনশীল বস্তুতে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কারণ এই সময়ে প্রচুর বর্জ্য ফেলা হয় সেগুলি গঙ্গায় গিয়ে পড়ে দূষণ ঘটায়।সংস্থার তরফে সুমিত সোম জানান, সাফাই অভিযানের সময় গঙ্গাপারের কাছাকছি তীর্থস্থানগুলির মন্দির কমিটি, সাধু ও পুণ্যার্থীদের গঙ্গা দূষণ নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। এছাড়াও এই অভিযানে ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। সংস্থার তরফে ৬ জনের দল এই অভ🧔িযা🍬নে গিয়েছিল। তাতে ৬০০ জন মানুষ তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, গোমুখে হিমবাহে পর্বতারোহণের সময় আরোহীরা ডিজেল, পেট্রোল আগুন জ্বালানোর জন্য ব্যবহার করেন। তারা সেগুলি উপরে ফেলে আসেন। আবার ধর্মীয় আচারের সময়ও গঙ্গায় অনেক বর্জ্য গিয়ে পড়ꩲে। তার👍ফলে গঙ্গা দূষণ হচ্ছে। ভিইসিসির তরফে জানানো হয়েছে তারা এই অভিযান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাবে। আর ৩ বছর ধরে তাদের এই কর্মসূচি চলবে।