এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বাঁকুড়া জেলায় এসে একগু♎চ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ফুটবল মাঠে সরকা🀅রি পরিষেবা অনুষ্ঠান যোগ দেন তিনি। সেখান থেকেই নারী ক্ষমতায়নের উপর বড় বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলাদের উপরই যে তাঁর আস্থা বেশি সে কথাই কার্যত শোনা গেল।
বাঁকুড়া জেলায় মোট ১২টি বিধানসভা কেন্দ্র আছে। তার মধ্যে বাঁকুড়া, শালতোড়া, ছাতনা, ওন্দা, বিষ্ণপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখী— এই ৮টি কেন্দ্রে বিজেপির বিধায়করা রয়েছেন। বাঁকুড়া–বিষ্ণুপুর লোকসভা আসন ২০১৯ সালে পেয়েছেন বিজেপির সুভাষ সরকার এবং সৌমিত্র খাঁ। এখন সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার তিনি হ🐬ুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘দু’জন সাংসদ রয়েছেন। অধিকাংশ বিধায়কও তো বিজেপির। কিন্তু কী করেছে বাঁকুড়ার জন্য? আজ পর্যন্ত উন্নয়ন হয়নি। ভোটের সময় আসে। আর ভোট নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি মহিলাদের ক্ষমতায়নে আমরা সারা বিশ্বে এক নম্বর। এই মেয়েরাই একদিন দেশ চালাবে, বিশ্ব চালাবে।’
এদিকে বহুদিন ধরে উদ্বোধন করা প্রকল্প কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না✃? তা নিয়েও জেলা প্রশাসনকে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ন💝ির্বাচনের আগে এবারও বাঁকুড়া জেলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন হাইওয়ে তৈর🎀ির জন্য রাজ্য সরকার মোট ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘দক্ষিণবঙ্গ থেকে সোজা উত্তরবঙ্গের সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করছে রাজ্য সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে শুরু হয়ে সড়ক জয়রামবাটি–কামারপুকুর থেকে বর্ধমানের মধ্যে দিয়ে মোরগ্রাম হয়ে সোজা চলে যাবে উত্তরবঙ্গে। এটা বাঁকুড়ার প্রাপ্তি।’
অন্যদিকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ৩৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রায় ১৯০ কোটি টাকার ৩৫টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। কর্মসংস্থানেরও বার্তা দেন। তবে ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষও করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে যাবে। বাঁকুড়ায় আগে জল পাওয়া যেত না। ৭ লক্ষ ৬০ হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। ৩২🍸০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ–দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হবে। ৬০ বছর বয়স হলে প্রাপকরা সরাসরি বার্ধক্য ভাতায় নথিভুক্ত হবেন। আগামী বছর বাংলায় ৮ কোটি কর্ম দিবস তৈরি হবে।’