আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন। বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলন্যাস করেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তার উপর ডিএ নিয়ে আন্দোলন চলছে। সেখানে ৩ শতাংশ ♍দেওয়া হয়েছে। সেটা দ🐠িতে গেলেও চাপ পড়বে ট্রেজারিতে। তাই সরাসরি ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে এবার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী🌌 ডিএ নিয়ে জানান, শুধু এটা পেলাম, ওটা দাও বললে হয় না। টাকার জোগাড়ও হওয়া চাই। কিন্তু কেন্দ্র টাকাই দেয় না। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক জাতির নিজের নিজের সমস্যা আছে। সেগুলির সমাধানও করতে হবে। কিন্তু আমরা তো জাদুকর নই। টাকাটাও জোগাড় করতে হবে। অনেকে বলেন, এটা পেলাম, ওটা দাও। আরে যেটা পেলে, সেটাকেও ধরে রাখতে হবে। সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে? কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে আর মিথ্যে কথা বলছে। বলছে, আধার লিঙ্ক না থাকলে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেবে না। বিজেপি নেতাদের কথায় কেন্দ্র আমাদের কোনও টাকা দিচ্ছে না।’
এদিকে বাজেটে রাজ্যের সরকারি কর🧜্মীদের মহার্ঘ ভাতা ৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও রাজ্য সরকারি 🐟কর্মচারীরা আন্দোলন করে চলেছেন। আবার এই সুযোগে বিরোধীরাও টিপ্পনি কাটছেন। তাই তাঁদের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মন꧒ে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতারা গিয়ে বলছেন, রাস্তার টাকা দিও না, জলের টাকা দিও না, বাড়ির টাকা দিও না, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিও না। মানুষ উপকৃত হলে আমরা কী করে ভোট চাইব। আমি বলি, তোমাদের লজ্জা থাকা উচিত। কারণ এগুলি মানুষের টাকা, তোমাদের নয়। জনগণের করের টাকা তুলে নিয়ে যায় দিল্লি।’
অন্যদিকে মেদিনীপুরের সভা সেরে এরপর মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যাবেন পুরুলিয়ায়। সেখানে হুটমুড়া ময়দানেও পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর রাত♎েই বাঁকুড়ায় যাবেন। আগামীকাল, শুক্রবার সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান ꧋অনুষ্ঠান সেরে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সবার নজর এখন সেদিকেই। তবে আজ তিনি বার্তা দেন, ‘আগে রাজ্য কর সংগ্রহ করত। এখন করে না। কাপড় কিনতে গেলেও জিএসটি কেটে নেয়। কেন্দ্র পায় সেই টাকা। আমাদের রাজ্যের ভাগটা পর্যন্ত দেয় না। আমরা একমাত্র রাজ্য যারা গর্ব করে বলতে পারি, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে মালার মতো একই সূত্রে গেঁথে রেখেছি। মানুষের ভাল থাকা, তাঁদের ভাল রাখা জরুরি। মানুষ ভাল না থাকলে, আমরা ভাল থাকব কী করে।’