বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ সংস্কৃতি তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টায় যখন মগ্ন নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহরা, তখন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমানের অভিযোগ উঠল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে রেল মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। লকডাউনের পর থেকে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস এখন চলছে হাওড়া–বোলপুর স্পেশাল নামে। ট্রেনের বাতানুকূল কামরার ভিতরে রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবির প্রতিলিপি ও শান্তিনিকেতন আশ্রমের ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নড়ౠেচড়ে বসেছে রেল। রেলের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সাড়ে তিন দশকের পুরনো শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস থেকে কবিগুরুর স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টায় সরব হয়েছেন অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে শান্তিনিকেতনে যাতায়াত করা সৈয়জ হাসমত জালালের ফেসবুক পোস্ট সকলকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। অনেকেই এই পোস্টের সমর্থনে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন। যেভাবে বঙ্গ সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির বিভিন্ন কাজকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলছে, তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।প্রশ্ন উঠছে, ভোট প্রচারে এসে মোদী–শাহরা যখন বাংলার মনীষীদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা 🍎করছেন, তখন কীভাবে রেলের তরফে এমন পদক্ষেপ করা হয়? রেলেরএই পদক্ষেপ কী আসলে সংস্কৃতির একমাত্রিকতাকে তুলে ধরার প্রয়াস?
পোস্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে রেল। প্রাথমিকভাবে রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ট্রেনের নাম বদলের অভিযোগ ঠিক নয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সব ট্রেনকেই মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন হিসেবে চালানো হচ্ছে। ওই সব ট্রেনের ভাড়া পুরনো ট্রেনের চেয়ে বেশি। রাজধানী, শতাব্দী বা দুরন্তের মতো ট্রেনও বিশেষ ট্রেন হিসেবে চালা🐼নো হচ্ছে। এক্সপ্রেসের নাম দল নিতান্তই তাৎক্ষণিক বলে মত রেল কর্তাদের।