চিকিৎসায় গাফিলতির ফলে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই ধরনের একটি ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। সেই সংক্রান্ত মামলায় ১৪ বছর ধরে আইনি লড়াই চলার পর অবশেষে নার্সিংহোম এবং চিকিৎসকের গাফিলতি খুঁজে পেয়েছে ক্রেতা সরকার আদালত। সেই সংক্রান্ত মামলায় নার্সিংহোম এবং চিকিৎসককে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল উপভোক্তা আদালত। উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোম এবং চিকিৎসক সুনীল চক্রবর্তীকে ১২ লক্ষ ৩০ হাজ🥂ার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অগ্নিদগ্ধ রোগিণীর মৃত্য💯ুতে চিকিৎসায় 🐻গাফিলতির অভিযোগ
মামলার বয়ান অনুযায়ী, প্রসূতির নাম বর্ষালি দেঁড়ে। তিনি উলুবেড়িয়ার অভিরামপুরের বাসিন্দা। ২০০৭ সালে উলুবেড়িয়া বাজারপাড়ায় অবস্থিত ওই নার্সিংহোমে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই তার সিজার করা হয়। কিন্তু, সিজারের পরে দেখা যায় তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিন্তু সেই সময় কোনও চিকিৎসক ছিল না। পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করেও চিকিৎসক🐎কে খুঁজে পাননি। তার কিছুক্ষণ পরেই বর্ষালির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন বর্ষালির স্বামী। পরে তিনি নার্সিংহোম এবং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলা চলে প্রায় ১৪ বছর ধরে। অবশেষে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সুনীল চক্রবর্তী এবং নার্সিংহোমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও এই নির্দেশ মেনে নেয়নি নার্সিংহোম এবং চিকিৎসক। তারা জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।