আবার কি রাজ্যবাসীকে মাস্ক পরতে হবে? মুখ ঢেকে যাবে মাস্কে? যাতায়াত কি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে? আজ এই প্রশ্নই দেখা দিয়েছে বাংলায়। কারণ দু’দিন ধরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের করোনাভাইরাস হয়েছিল। তাই পূর্ব বর্ধমানে কোভিড হানা দিয়েছে বলে চাউর হয়ে গিয়েছে। রবিবার এবং সোমবার এই দু’দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জন কোভিড আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আরও কয়েকজন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান꧒্ত হয়ে এখানে এখন চিকিৎসাধীন।
এদিকে বর্ধমানের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’জন করোনাভাইরাসে মারা গিয়েছেন তা স্বীকার করতে চাইছেন না। তাঁদের দাবি, মারা যাওয়া দু’জনই অন্য রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। তাতেই মারা গিয়েছেন। সুতরাং তাঁদের কোমর্বিডিটি ছিল এটা স্পষ্ট। তবে ওই দু’জনের মৃত্যুর শংসাপত্রে কোভিডের কথা উল্লেখ ♈করা হয়েছে। এই কথা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ধমানের অনেকেই এখন মাস্ক পরতে শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরাই মাস্ক পরছেন। তাই আবার করোনাভাইরাস কি ফဣিরছে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আবার নতুন করে করোনাভাইরাসের খবর পাওয়া গিয়েছে আমেরিকায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খোঁজ মিলেছে আবু ধাবিতেও।
🅺 ঠিক কী জানা যাচ্ছে হাসপাতাল থেকে? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সূত্রে খবর, যে দু’জন ব্যক্তি এই হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন ভাতারের ৬০ বছরের এক♉ বৃদ্ধ। তাঁর কিডনির অসুখ ছিল। আর একজন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। এঁরা দু’জনেই কয়েকদিন আগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনাভাইরাস আবার কিছু পকেট এলাকায় দেখা যাচ্ছে। তবে তা বড় আকারের কিছু নয়।
আরও পড়ুন: টানা দু’মাস ব⛎ন্ধ থাকবে মহানগরীর এই ব্যস্ততম পথ, ঘুরপথ দেখাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ
আর কী জানা যাচ্ছে? করোনাভাইরাসে গত দু’বছরে বহু মানুষকে হারাতে হয়েছে। প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকার্ত হয়েছে বহু পরিবা🦄র। এই রোগে আক্রান্ত হলে দেখতে পর্যন্ত কেউ আসেনি। এমনকী এই ভাইরাসের দাপটে গোটা বিশ্ব দেখেছে লকডাউন, গৃহবন্দি, বেকারত্বের জীবন। তারপর বহু কষ্টে পরিস্থিতি বদলালেও এই খবরে নতুন করে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মানুষের মনে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আবার স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। খাবার সংস্থান করা কঠিন হয়ে পড়েছিল মানুষের কাছে। আবার কি নতুন করে দোসর হচ্ছে করোনাভাইরাস? উঠছে প্রশ্ন।