বাংলার সংশোধনাগারে স্থানসঙ্কুলানের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যাটি যে চিত্র নিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের ৬০টি সংশোধনাগার রয়েছে। যেখানে থাকতে পা🔴রেন ২১ হাজারের মতো বন্দি। কিন্তু থাকতে হচ্ছে ২৮ হাজার বন্দিকে। যা বেশ কষ্টসাধ্য। এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে ২০২৩ সালের রাজ্যের সংশোধনাগার সম্পর্কিত ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) রিপোর্টে। এই রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের সাতটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মধ্যে চারটিতে বাড়তি সংখ্যায় বন্দি রয়েছেন। ফলে তাঁদের থাকতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছে। তাই মুক্ত সংশোধনাগারগুলিতে আবাসিক বাড়াতে চাইছে কারা কর্তৃপক্ষ। তাতে ভিড় একটু কমবে বলেই মনে করছেন কারা দফতরের অফিসাররা।
ম🅠ুক্ত সংশোধনাগার বিষয়টি ঠিক কী? কারা দফতর সূত্রে খবর, মুক্ত সংশোধনাগার হল একটি নির্দিষ্ট ঘেরা জায়গা। যেখানে নির্দ্বিধায় বন্দিরা ঘুরে বেড়াতে পারেন। সময় কাটাতে পারেন এবং সেখানে নানা কাজও করতে পারেন। অন্ধকার কুঠুরি নয়। এখানে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্দিরা থাকেন একটি ভবনে। সকাল ৬টায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় জেলের ঘেরাটোপের বাইরে। মুক্ত আকাশের নীচে। যেখানে যে কোনও পেশায় যুক্ত হতে পারেন বন্দিরা। কেউ বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে পারেন। তবে একটি নির্দিষ্ট কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে থাকারই ন🧸িয়ম। আর নিরাপত্তাও সেখানে থাকে বেশ আঁটোসাঁটো। রাত ৮টায় তাঁদের ফিরে আসতে হয়।
কারা এই সুযোগ পান? নিয়ম অনুযায়ী, মুক্ত সংশোধনাগারে কারাদণ্ডের সাজা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, এমন বন্দিরাই সুযোগ পান। তাঁদের মুক্ত সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। বন্দিদের চিহ্নিত করতে হয় পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে। এটা ঠিক করে একটি বোর্ড। এখন ২০০ জন বন্দিকে রায়গঞ্জ, লালগোলা, মেদিনীপুর এবং দুর্গাপুরের মুক্ত সংশোধনাগারে পাঠানো হচ্ছে। বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে এই ২০০ জন বন্দিকে মুক্ত সংশোধনাগারে পাঠানোর সি꧙দ্ধান্ত নিয়েছে কারা দফতর। ডিসেম্বর মাসে নি🏅র্দেশিকা জারি হয়।
আরও পড়ুন: ‘কল্পতরু উৎসবে’ নামল ভক্তদের ঢল, জয়রামবাটඣি–কামারপুকুর–দক্ষিণেশ্বরে চলছে 🍒পুজো
আর কী জানা যাচ্ছে? জামিন পেয়েছেন। কিন্তু বন্ডের টাকা জমা দিতে পারছেন না। এমন বন্দিদের মুক্ত করতেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে কারা কর্ไতৃপক্ষের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ভিডিয়ো কনফারেন্স হয়েছ🅷ে। রাজ্যের সমস্ত সংশোধনাগারের সুপারদের সংশ্লিষ্ট তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও যাঁদের বাড়ির লোকজন তাঁদের নিয়ে যাননি সেই অংশকে রাখার জন্য বারাসতে একটি হোম তৈরি হয়েছে। এনসিআরবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকার কথা ৩৬০৭ জন। গত ১ মে সেখানে ছিলেন ৩,৬৯১ জন। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকার কথা ১২৮৪ জনের। সেখানে ছিলেন ১৫৯৪ জন। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন সর্বোচ্চ ৮৬৭ জন। সেখানে ছিলেন ১৫২৫ জন। অতিরিক্ত বন্দি ছিলেন বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেও। লালগোলা, রায়গঞ্জ এবং মেদিনীপুরে মুক্ত সংশোধনাগার আছে।