গত বুধবার নিখোঁজ হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ থানার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর। অবশেষে রবিবার সকালে একটি নালার ধারে থাকা একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরের দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাথমিকভাবে এটিকে খুন বলে মনে করছে পুলিশ। বালি মাফিয়াদের দাপট রয়েছে এই এলাকায়। ফলে এই খুনের ঘটনায় বালি মাফিয়ারা জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।আজ রবিবার সকালে দলসিং পাড়ার ১০ নম্বর এলাকা থেকে ওই এএসআইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, এলাকায় ট্র্যাফিকের দায়িত্ব সমালাচ্ছিলেন ওই এএসআই। তিনি কোচবিহারের বাসিন্দা। গত বুধবার ট্র্যাফিকের দায়িত্ব সামলানোর জন্য তাঁকে দলসিং এলাকায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, সন্ধ্যার পরে তাঁর মোবাইল সুইচ অফ হয়ে যায়। তারপরে আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে দলসিং ব্রিজ পার হওয়ার পর সুইচ অফ হয়ে যায় তাঁর মোবাইল। এরপর তাঁর আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানার পরে তার খোঁজে তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অবশেষে তিনদিন পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত জয়গাঁ থানার কোয়ার্টারে থাকতেন ৫২ বছরের এএসআই। তবে এটি খুন কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে একটি নালায় এসআইয়ের দেহ পড়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবে খুনের সন্দেহ এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে ব্যক্তিগত কারণে খুন করা হয়েছিল নাকি বালি মাফিয়ারা এই খুনের ঘটনায় জড়িত তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।