মেয়েকে কথা দিয়েছিলেন পুজোর আগে ফিরবেন। আর সঙ্গে নিয়ে আসবেন একটি চমৎকার গিফট। তারপর ঘটা করে মেয়ের জন্মদিন পালন করবেন। কিন্তু, কথা রাখতে পারলেন না বাবা। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বুধবার কুয়েতের বহুতলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪২ জন ভারতীয়। মৃতদের মধ্যে এক জন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর শহরের শরৎপল𒀰্লীর বাসিন্দা। তাঁর নাম দ্বারিকেশ পট্টনায়ক (৫২)। আজ ঘরে ফিরল কুয়েতে অগ্নিদগ্ধ সেই শ্রমিকের কফিন বন্দি নিথর দেহ। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার-পরিজন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের অগ🌺্নিকাণ্ডে মৃত্যু বাংলার ১ জনের, বায়ুসেনার বিমানে শুক্রবার আ✅না হবে দেহ
দ্বারিকেশ বাবুর আসল বাড়ি দাঁতনের তুরকাতে। সম্প্রতি মেদিনীপুর তিনি শহরে শরৎপল্লী এলাকায় বাড়ি বানিয়েছেন। সেখানেই তিনি স্ত্রী এবং মেয়েক🐠ে নিয়ে থাকতেন। দীর্ঘ ২৭ বছর তিনি বিদেশে ছিলেন। কুয়েতের একটি বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ার সুপারভাইজার পদে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু, গত বুধবার বিধ্বংসী আগুনে প্রাণ কেড়ে নেওয়া ৪৯ জনের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। আজ শনিবার বিমানে করে তাঁর দেহ কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখান থেকে শ্রমিকের কফিন বন্দি নিথর দেহ শববাহী গাড়িতে করে আনা হয় মেদিনীপুরের বাড়িতে।
এদিন তাঁর দেহ বাড়িতে আসার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী মেয়ে এবং পরিব🌌ারের অন্যান্য সদস্যরা। মৃত শ্রমিককে দেখতে বাড়িতে ভিড় করেন প্রতিবেশী এবং অন্যান্য বিভিন্ন একালাকার মানুষজন। তাঁকে শেষ বিদায় জানান সকলেই। এর পাশাপাশি মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেদিনীপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তা𓄧ঁর স্ত্রী মেয়ে। তাঁরা যেন শোকে পাথর। মৃতের শ্যালক জানান, দাঁতন ২ নম্বর ব্লকে দেশের বাড়িতে তাঁর জামাইবাবুর শেষ কৃত্য সম্পন্ন হবে।
জানা যায়, আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয় শ্রমিকের কফিন বন্দি দেহ। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের বিডিওসহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিক এবং পরিবারের সদস্যরাꦰ। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে সুজিত বসু বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার দরকার তা সবই করা হচ্ছে। আমি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে এসেছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে সব কাজই করা হচ্ছে। ’