দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। আর বাড়ি ফেরার পরেই রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হল উত্তর বারাকপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের দেহ। শনিবার সকালে বাড়ির ছাদ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হল কাউন্সিলর তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। একইসঙ্গে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এভাবে একজন ভাইস চেয়ারম্যানের মৃত্যুকে ঘিরে উঠ൩েছে একাধিক প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: কসবার তৃণমূল কাউন্সিলরকে মারতে কতর সুপারির?❀ টাকার অঙ্কে মুখ হবে হাঁ!
জানা গিয়েছে, গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। বাড়িতে ফোন রেখে তিনি বেরিয়ে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। ঘটনায় পুলিশকে জানায় পরিবার। পুলিশও তৃণমূল কাউন্সিলরকে অনেক খোঁজার চেষ্টা করে। এরপর শুক্রবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। আর শনিবার সকালেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। জানা যাচ্ছে, যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেখানে তিন তলার ছাদে তাঁকে আজ সকাল ১০ টা নাগাদ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার সহ গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে আসেন উত্তর বারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলররা। সেই সঙ্গে আসেন পুর প্রধান মলয় ঘোষ। পাশাপাশি খবর পেয🎉়ে সেখানে পৌঁছয় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যানের প্রথমে নিখোঁজ হওয়া এবং তারপরে এভাবে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। যদিও এখন পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনওরকমের অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে স্𒅌পষ্ট হওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, মৃতদেহের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। এখন কী কারণে কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খবর পেয়ে এদিন ছুটে আসেন পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ। তিনি জানান, কী কারণে সহকর্মীর মৃত্যু তা তিনি বলতে পারবেন না। তবে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে ভাইস চেয়ারম্যান তাঁর সঙ্গে দু'ঘণ্টা ধরে ছিলেন। তিনি পুরোদমে কাজে ছিলেন। সেই সময় তাঁকে দেখে ক🉐োনও কিছুই বোঝা যায়নি। তাঁর ভিতরে কোনও হতাশা ছিল কিনা তা দেখে বোঝা যায়নি বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান। মলয় ঘোষ বলেন, ’সত্যজিৎ ১৯৮৪ সাল থেকে কাউন্সিলর রয়েছেন। আমরা প্রায় সমবয়সি। আমরা দীর্ঘদিনের সহকর্মী। আগে তিনি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এখন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।’ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।