একুশের বিধানসভার মত💝োই চব্বিশের লোকসভাও রাজ্য জুড়ে দেখা গিয়েছে সবুজ ঝড়। গতবারের থেকে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে অনেক বেশি আসন পেলেও তমলুক কেন্দ্রে সবুজ ঝড়ের প্রভাব পড়েনি। সেখানে পদ্ম ফোটাতে সক্ষম হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি থেকে সদ্য রাজনীতির ময়দানে পা রাখা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কোনওভাবে সেখানে অধিকারী পরিবারের গড় বাঁচাতে পেরেছেন। অভিজিতের কাছে ৭৭ হাজার ৭৩৩টি ভোটের হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। এমন অবস্থায় নিজের হার নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেবাংশু। কার্যত শুভেন্দুর সুরেই তিনি কথা বললেন।
আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দুও বিশ্বাস কর💛বেন না,’ এক্সিট পোল দেখে লিখলেন দেবাংশু,নিজের আসন ন💧িয়ে চুপ!
এই প্রথমবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন দেবাংশু। ভোটের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলার সময় জানান, অনেকেই আশীর্বাদ করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ভালোই ছিল। তবে তিনি ভোটে লড়তে গিয়ে দেখেছেন, যে জেলায় অনেকেই রয়েছেন। যারা দু নৌকায় পা দিয়ে চলছেন। অর্থাৎ তৃণমূল𝐆ের কিছু নেতা কর্মী বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে বলে অভিযোগ।
দেবাংশুর দাবি, এরফলে স্বাভাবিকভাবেই পড়েছে ভোটে। দেবাংশু জানান, যারা যারা দু নৌকায় পা দিয়ে চলছেন তাদেরকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী প্রায়ই দাবি করেছেন, যে তৃণমূলের মধ্যে এখনও তাঁর লোক রয়েছে। কার্যত সেই সুর শোনা গেল দেবাংশুর গলায়।দেবাংশুর দাবি, দু নৌকায় পা দিয়ে চলে দলের বিভিন্ন প🧸দ সামলানো যায় না। এভাবে চলতে পারে না। ভোটে লড়তে গিয়ে তাঁকে এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, তমলুক কেন্দ্র থেকে দেবাংশুকে প্রার্থী করেছিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। ফলে রাজ্যের নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল অধিকারী পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত তমলুক। ভোট প্রচার শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, অভিজিৎ ২ লক্ষ ভোটে জয়ী হবেন। যদিও জয়ের ব্যবধান এক লক্ষের কাছাকাছিও পৌঁছয়নি। ভোট গণনার দিন সকাল থেকে এই কেন্দ্রে দেখা গিয়েছিল হ🧸াড্ডাহাড্ডি লড়াই। কখনও এগিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য আবার কখনও এগিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমদিকে এগিয়ে থাকার ব্যবধান খুব বেশি ছ🌠িল না। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।