কেন্দ্রের পোর্টালে নেই রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য। নির্দিষ্ট জায়গায় লಞেখা রয়েছে ‘এনআর’। অর্থাৎ তথ্যের কোনও রেকর্ড নেই। এ বছর রাজ্যে ডেঙ্গি শুরুর পর থেকে কোনও তথ্যই পোর্টালে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন তথ্য জানানো হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় পোর্টালে রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য কেন নেই তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাইছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, তথ্য সবই দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কেন তোলা হচ্ছে না তাঁরা⛎ তা বুঝতে পারছেন না।
‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোলে’র পোর্টালে এ বছর ৩১ জুলাই পর্যন্ত সব রাজ্যের ✤ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের নামের জায়গায় কোনও তথ্য নেই। অভিযোগ, চলতি বছরের কোনও তথ্যই প্রকাশ্যে আনতে রাজি নয় রাজ্য। সে কারণে ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হচ্ছে না। এর আগে সাপ্তাহিক তথ্য প্রকাশিত করা হতো। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে সেই তথ্য পাঠানো হতো। এবার তা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ এবং চিকিৎসক সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, এই ভাবে তথ্য গোপন করে লাভের লাভ কিছু হবে না। এক চিকিৎসকে🎃র কথায়, ‘শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়? ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই তো রাজ্য প্রশাসন একাধিকবার বৈঠক করছে।’
(পড়তে পারেন। মোটা টাকা নিয়ে বেড পাইয𒐪়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, SSKM থেকে ধৃত তিন দালাল)
‘সার্ভিস ডক্টর ফোরামের’ সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘এ বিষয়টি সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। যে কোনও রোগ মোকাবিলা করতে হলে কত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কত মানুষ সুস্থ হচ্ছেন তা জানা উচিত। তা ꩵনা হলে কোনও সংক্রমক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে ♌তোলা যায় না।’
হেলথ সার্ভিস ডক্টর অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদক মান🅠স গুমটার সংবাদমাধ্যমকে বলেন , ‘এভাবে নিথ্যাচার করে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এর ফলে দিশাহীন জনস্বার্থ বিশেষজ্ঞরা।’
বেসকারি সূত্র অনুযায়ী এ রাজ্য ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা জুলা♉ই মাসে ছিল পাঁচ হাজার। মৃত নয়। এর কোনও তথ্যই কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে দেওয়া নেই। বেসরকারি সূত্র বলছে, গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে সোমবার নবান্নে একটি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ডেঙ্গি মোকাবিলায় বেশ কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়। এই নির্দেশ🌄 না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, অগস্ট থেকে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তেই স্থানীয় পু๊রসভা ও প্রশাসনের চাপে ডেঙ্গি নি▨য়ে মুখ বন্ধ করেছে বেসরকারি বহাসপাতাল এবং পরীক্ষাগারগুলি।